হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফের আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৪ মে) বিকেল ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ফিরে কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হন তারা।
Advertisement
সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লং মার্চে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে আহত হন অর্ধশতাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক।
আহতদের সবাইকে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান থেকে জবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফীনসহ বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ফের আন্দোলনে যুক্ত হন।
আহত শিক্ষার্থী ওমর ফারুক জিলন বলেন, আমার বুকে পুলিশ লাথি মারে। লাঠি দিয়ে আঘাতও করে। বুকে মারাত্মক ব্যথা পেয়েছি। মেডিকেলে প্রায় ২ ঘণ্টা ছিলাম। ডাক্তার ১০ দিনের বেড রেস্ট দিয়েছিলেন। সবাই বাসায় যেতে অনুরোধ করেছিল, কিন্তু বাসায় যেতে মন চাচ্ছে না। আমাদের দাবি আদায়ে সহপাঠীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি।
Advertisement
আরেক শিক্ষার্থী সংগ্রাম জাগো নিউজকে বলেন, আমার ডান হাতে ফ্র্যাকচার হয়েছে। আমার সহপাঠীরা আন্দোলন করছে, আর আমরা হাসপাতালে শুয়ে থাকবো। এটা মানতে পারছি না। তাই অসুস্থ শরীর নিয়ে আবার আসছি।
জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিন হাসান জাগো নিউজকে বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখানে থাকবো। দ্বিতীয় কোনো অপশন নেই।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলোআবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
আরএএস/এমএএইচ/জেআইএম
Advertisement