হলিউডের কিংবদন্তিতুল্য ও প্রভাবশালী চলচ্চিত্র নির্মাতা রবার্ট বেন্টন মারা গেছে। রোববার নিউইয়র্ক শহরের নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন এই অস্কারজয়ী পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
Advertisement
সিনেমার ইতিহাসে ‘বনি অ্যান্ড ক্লাইড’ এবং ‘ক্রেমার ভার্সেস ক্রেমার’র মতো বিপ্লবী ও সংবেদনশীল সিনেমার নির্মাতা হিসেবে খ্যাত বেন্টনের মৃত্যু বিশ্ব চলচ্চিত্রে এক গভীর শূন্যতা তৈরি করেছে। তার এ শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয় বলে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বোদ্ধারা।
বেন্টন ১৯৬০ সালের দিকে ‘স্কয়ার’ ম্যাগাজিনের আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন বেন্টন প্রথমে লেখক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ফরাসি নিউ ওয়েভ সিনেমা ও আমেরিকার গ্যাংস্টার ইতিহাসের প্রেমে পড়ে তিনি ডেভিড নিউম্যানের সঙ্গে মিলে রচনা করেন ‘বনি অ্যান্ড ক্লাইড’র কাহিনি।
এ সিনেমার মাধ্যমে ১৯৬৭ সালে হলিউডে নতুন ধারার সৃষ্টি হয়। বেন্টন ও নিউম্যানের চিত্রনাট্যে এক সময়ের নিষিদ্ধ গল্পগুলো উঠে আসে সাহসীভাবে। যদিও প্রাথমিকভাবে সমালোচনার মুখে পড়ে, সিনেমাটি পরে কালজয়ী ক্লাসিকের মর্যদা লাভ করে।
Advertisement
১৯৭৯ সালে বেন্টনের লেখা ও পরিচালিত ‘ক্রেমার ভার্সেস ক্রেমার’ তাকে এনে দেয় সেরা চিত্রনাট্য, সেরা পরিচালনা ও সেরা চলচ্চিত্রের অস্কার। পরবর্তী সময়ে ‘প্লেসেস ইন দ্য হার্ট’র জন্যও তিনি চিত্রনাট্য বিভাগে পুরস্কার পান। ডাস্টিন হফম্যান, মেরিল স্ট্রিপ ও স্যালি ফিল্ডের মতো কিংবদন্তি অভিনেতারা বেন্টনের নির্মাণে সেরা অভিনয় করেছেন।
টেক্সাসের ওয়াক্সাহাচিতে জন্ম নেওয়া বেন্টনের শৈশব ছিল সিনেমা ও গল্পে ভরপুর। বাবার হাত ধরে সিনেমার প্রতি তার ভালোবাসা গড়ে ওঠে। সেই ভালোবাসা তাকে নিয়ে যায় নিউইয়র্ক, এরপর হলিউডের মঞ্চও তিনি জয় করনে।
আরও পড়ুন: আলিয়াকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা সত্যি হলো যে কারণে বলিউডে এসে বদলে গেলেন ঐশ্বরিয়ামুত্যুকারে বেন্টন স্ত্রী সালি রেনডিংস এবং পুত্র জন বেন্টনকে রেখে গেছেন। বিশ্ব চলচ্চিত্রে রবার্ট বেন্টনের নাম চিরকাল স্মরণীয় থাকবে। তিনি বেঁচে থাকবেন সিনেমাপ্রেমীদের মনে।
এমএমএফ/এএসএম
Advertisement