খেলাধুলা

আইপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের ফেরার পক্ষে নন জনসন

আইপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের ফেরার পক্ষে নন জনসন

ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনা প্রশমন ও যুদ্ধবিরতির পর আাগামীকাল শনিবার (১৭ মে) পুনরায় আইপিএল শুরু হবে। তবে টুর্নামেন্টের বাকি অংশে অনেক বিদেশি ক্রিকেটারদের পাবে না আইপিএলের ফ্র্যাঞ্জাইজিগুলো। কেননা কেউ কেউ এরইমধ্যে চলতি আসরে আর না ফেরার ঘোষণা দিয়ে ফেলেছেন, যদিও আবার অনেকে ফেরার কথা ভাবছেন।

Advertisement

তবে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা পেসার মিচেল জনসন মনে করেন, বিদেশি খেলোয়াড়দের বাকি ম্যাচগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত। না ফেরাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। একইসঙ্গে অর্থের চেয়ে নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দেন বাঁহাতি সাবেক এই গতিতারকা।

পার্থ থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক ‘ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান’ এর এক কলামে জনসন লেখেন, ‘আজকাল ক্রিকেটে অনেক বড় অঙ্কের অর্থ জড়িত। কিন্তু এটি কেবলই একটি খেলা। আইপিএল সাময়িকভাবে স্থগিত হওয়ার ব্যাপারটা সেটাই আবারও মনে করিয়ে দিল। ভারত গিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করবো কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে আমার উত্তর হবে সহজ – আমি যেতাম না। জীবনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অর্থের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

জনসন আরও লেখেন, ‘এটি একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কাউকে যেন জোর করে বা চাপে ফেলে আইপিএল বা পিএসএলে ফেরানো না হয়। এই দুই টুর্নামেন্টই এখন বন্ধ রাখা উচিত, অথবা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে। যদিও এটি অর্থনৈতিকভাবে অনেক বড় সমস্যা তৈরি করবে।’

Advertisement

২৫ মে ফাইনাল হওয়ার কথা থাকলেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ঘোষিত নতুন সূচি অনুসারে ফাইনাল হবে ৩ জুন।

এই নতুন সূচি অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের জন্য জটিলতা তৈরি করছে। যদি তারা আইপিএল প্লে-অফে অংশ নেন, তাহলে ১১ জুন লর্ডসে শুরু হতে যাওয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য প্রস্তুতির সময় খুবই কম পাবেন।

জনসন লেখেন, ‘আর ভুলে গেলে চলবে না। কিছু অস্ট্রেলিয়ান ও দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড়দের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এখন যেহেতু আইপিএল ফাইনাল ৩ জুন নির্ধারিত হয়েছে, যা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের মাত্র এক সপ্তাহ আগে। ফলে খেলোয়াড়দের প্রস্তুতিতে বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে।’

নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে সাবেক অসি তারকা আরও বলেন, ‘ক্রিকেট ভক্তদের জন্য গর্ব ও ঐক্যের প্রতীক। বর্তমান পরিস্থিতিতে নানা চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও এই খেলার প্রতি ভালোবাসা অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে বাস্তবতা হলো, খেলোয়াড়, ভক্ত ও সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। ক্রিকেট বিভাজন দূর করে বন্ধুত্বের বার্তা ছড়াতে পারে ঠিকই। কিন্তু এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে খেলতে যাওয়ার প্রভাবও ভেবে দেখতে হবে।’

Advertisement

এমএইচ/এএসএম