টাঙ্গাইলে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষে আয়োজিত ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে জেমসের কনসার্টে মোবাইল চুরির হিড়িক পড়ে। এসময় চুরি থেকে রেহাই পাননি গণমাধ্যম কর্মীরাও।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে টাঙ্গাইল শহীদ মারুফ স্টেডিয়ামে এমন ঘটনা ঘটে। এছাড়াও কয়েকজন নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগও উঠেছে।
মোবাইল চুরির ঘটনায় বুধবার (১৪ মে) সকালে কমপক্ষে ৬০ জন থানায় জিডি করেছেন।
এদিকে অনেক গণমাধ্যম কর্মী আয়োজক কমিটির বাধার কারণে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারেননি।
Advertisement
জানা যায়, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করা হয়। এই চ্যাম্পিয়নশিপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এর ট্রফি উন্মোচন হয়। উদ্বোধন করেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালসহ বিএনপির ও আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেমসের কনসার্টে উপলক্ষে বিকেল থেকেই ঢল নামে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে। পরে রাত ৯টার দিকে জেমস মঞ্চে ওঠেন। বিভিন্ন গান পরিবেশন করে তিনি দর্শকদের মাতোয়ারা করেন। এসময় স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে কনসার্টের এক পর্যায়ে কয়েকশ মোবাইল চুরি হয়৷
অপরদিকে কয়েকজন নারীকে শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে অনেকেই পোস্ট করছেন। এ নিয়ে জেলায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
Advertisement
দর্শনার্থীরা অভিযোগ করেন, আয়োজক কমিটি যথাযথ দায়িত্ব পালন করেনি। বিশেষ করে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কারণে হিমশিম খেতে হয়েছে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারেনি৷ এতে সাধারণ অনেক দর্শনার্থীই ঠিকমতো কনসার্ট উপভোগ করতে পারেননি।
সাংবাদিক নাঈম খান রাব্বি জাগো নিউজকে বলেন, পেশাগত কাজের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু জেমসের কনসার্টে আমার মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে। এছাড়া আমার ভাগনেরও ফোন হারিয়েছে।
টাঙ্গাইলের ক্রীড়া সাংবাদিক মোজাম্মেল হক জাগো নিউজকে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করার জন্য সাংবাদিক হিসেবে ভিআইপি গেটে দিয়ে প্রবেশ করতে গিয়ে ফিরে এসেছি। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও টিকিট ছাড়া প্রবেশ করতে দেয়নি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ছিল৷ মোবাইল চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬০ জন জিডি করেছেন।
আব্দুল্লাহ আল নোমান/এফএ/এএসএম