দেশজুড়ে

‘হানি ট্র্যাপের’ খপ্পরে পড়ে কারাগারে যুবক

‘হানি ট্র্যাপের’ খপ্পরে পড়ে কারাগারে যুবক

যশোরে ‘হানি ট্র্যাপের খপ্পরে পড়ে’ নাহিদ হাসান বাঁধন নামের এক যুবক কারাগারে রয়েছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার। ওই যুবকের মায়ের দাবি, ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়ে চাহিদা অনুযায়ী অর্থ না দেওয়ায় ধর্ষণ মামলায় তাকে ফাসানো হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করেন নাহিদ হাসানের মা নাছিমা খানম।

লিখিত বক্তব্যে নাছিমা খানম জানান, তার একমাত্র ছেলে নাহিদ হাসান বাঁধন কাজীপাড়া বিমান অফিস মোড়ে যশোর কনসালটেন্সি ফার্মে চাকরি করেন। হঠাৎ করেই গত ১০ মে তার অফিস থেকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পরে থানায় গিয়ে জানতে পারেন, বারান্দি মাঠপাড়া এলাকার জাহিদ হোসেন নান্নুর মেয়ে নাজনীন নাহার তিশা তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। নাছিমা খানম দাবি করেন, কলেজে লেখাপড়াকালীন তার ছেলে বাধনের সঙ্গে তিশার পরিচয় হয়। তিশা হানি ট্র্যাপ চক্রের সদস্য। পরিচয়ের সূত্র ধরে তিশা কৌশলে বাঁধনকে ফাঁসিয়ে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হন এবং তার ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। তিন বছর ধরে সেই ভিডিও ও ছবি দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেল করে আসছেন। গত তিন বছরে তিশা বাঁধনের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিকাশের মাধ্যমে এই টাকা পাঠানোর প্রমাণও রয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, ওই মেয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার ছেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে একইভাবে ব্ল্যাকমেল করে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় হানি ট্র্যাপ গ্রুপের সদস্য ইকরামুলসহ কয়েকজনকে দিয়ে বাঁধনকে তুলে নিয়ে মারধর করেন। পরে তিনটি সাদা স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নেন। এরপরও টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে গত ১ মে রাত ১০ টার দিকে তিশা লোকজন নিয়ে বাড়িতে আসেন। এসময় বাঁধনকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে মারধর করে ধর্ষণ মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান।

নাছিমা খানম জানান, এসব ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় গত ২৮ মার্চ এবং ২ মে দুটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো তিশার ষড়যন্ত্রমূলক ধর্ষণ মামলায় বাঁধনকে গ্রেফতার করেছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে তার ছেলের মুক্তি এবং হানি ট্র্যাপ চক্রের সদস্যদের শাস্তি দাবি করেন।

Advertisement

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক(এসআই) দেবাশীষ হালদার জানান, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বাঁধনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তার পরিবারের যে অভিযোগ সেগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাঁধনের স্ত্রী লাবণী খাতুন ও বোন সুমনা মুন উপস্থিত ছিলেন।

মিলন রহমান/এসআর/এমএস

Advertisement