বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে দেশের ১৫৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নথি চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Advertisement
গত ৫ মে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের স্বাক্ষর করা তলবি চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড-পিডিবির চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো চিঠিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তালিকা উল্লেখ করে নথিপত্র চাওয়া হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হয়েছে। যার অধিকাংশই বেসরকারি মালিকানার।
চিঠিতে বলা হয়, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও অন্যান্যের মাধ্যমে ঘুসগ্রহণ, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে প্রকল্প পাস করানো, সরকারি জমি দখল, ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ঋণগ্রহণ করে আত্মসাৎ করাসহ অন্যান্য অভিযোগ রয়েছে।
Advertisement
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আক্তারুল ইসলাম বলেন, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে প্রকল্প পাস করানো, সরকারি জমি দখল, ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ঋণগ্রহণ করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা নথিপত্র তলব করে পিডিবিতে চিঠি দিয়েছেন। অনুসন্ধান দল আইন অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
দুদক যেসব রেকর্ডপত্র তলব করেছে তার মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে সংযুক্ত তালিকায় বর্ণিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ২০০৯ এর জানুয়ারি থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত ২৩ হাজার ৫৮৪ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ১৫৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, সেসব পাওয়ার পারসেজ অ্যাগ্রিমেন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যাগ্রিমেন্টসহ (পিপিএ) সম্পাদিত সব চুক্তি ও চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে বোর্ডের অনুমোদন এবং চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর অনুকূলে অদ্যাবধি পরিশোধকৃত বিল ও বকেয়া বিল সংক্রান্ত তথ্যসহ সংশ্লিষ্ট যে কোনো রেকর্ডপত্র।
চাহিদাকৃত রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি যত দ্রুত সম্ভব পাঠানোর অনুরোধ করেছেন অনুসন্ধান দলের প্রধান। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করে দুদক।
এসএম/এমআরএম/জিকেএস
Advertisement