ম্যাচের ৫ম মিনিটেই পেনাল্টি। গোল করে ফেললেন কিলিয়ান এমবাপে। ১৪তম মিনিটে আবারও গোল। গোলরক্ষক সেজনিকে একা পেয়ে বার্সার জালে বল জড়াতে মোটেও কষ্ট করতে হয়নি ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপেকে।
Advertisement
অর্থ্যাৎ, এল ক্ল্যাসিকো ম্যাচের বয়স যখন ১৪ মিনিট, তখনই ২-০ গেলে এগিয়ে গেলো রিয়াল মাদ্রিদ। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচের ফল কী হতে পারে? না, খুব সহজে এর উত্তর দেয়া সম্ভব নয়।
কারণ, প্রতিপক্ষ দলটির নাম তো বার্সেলোনা। চলতি মৌসুমে এ নিয়ে চতুর্থবার এল ক্ল্যাসিকোয় মুখোমুখি দুই দল। আগের তিনবারই বার্সার কাছে হারতে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। তবে, আজকের এল ক্ল্যাসিকো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই ম্যাচ দিয়েই লা লিগা শিরোপা নির্ধারণ হবে, নয়তো শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লড়াই জারি থাকবে।
২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর রিয়াল ফুটবলাররাও সম্ভবত আত্মতুষ্টিতে ভুগতে শুরু করেছিলেন। যার খেসারত দিতে হলো প্রথমার্ধের বাকি সময়ে। ঘরের মাঠ এস্টাডি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বার্সেলোনা। ১৯তম মিনিটেই এরিক গার্সিয়ার দুর্দান্ত গোলে প্রথম গোল শোধ করে বার্সা।
Advertisement
এরপর ৩২তম মিনিটে লামিনে ইয়ামালের গোলটা ছিল স্রেফ দেখার মত। ফেরান তোরেস বলটা এগিয়ে দিলে বক্সের ডান কোন থেকে বাম পায়ের দুর্দান্ত গোলে রিয়ালের জাল ভেদ করেন ইয়ামাল।
এর ২ মিনিট পর আবারও গোল। রিয়াল ডিফেন্ডারদের ভুল কাজে লাগিয়ে বার্সাকে প্রথমবার এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনহা। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে, ৪৫তম মিনিটে আবারও গোল করে বসেন রাফিনহা। রিয়াল ডিফেন্ডারদের অমার্জনীয় ভুলে বল পেয়ে যান রাফিনহা। তিনি সেটা ঠেলে দেন ফেরান তোরেসের কাছে। এরপর ছোট বক্সের সামনে জায়গা করে দাঁড়ান। তোরেসের ফিরতি বল দারুণ এক শটে রিয়ালের জালে জড়ান রাফিনহা।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে এমবাপে একটি গোল করলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। একটি পেনাল্টিও পেয়েছিলেন এমবাপে। কিন্তু ভিএআর দেখে সেটা বাতিল করে দেন রেফারি। শেষ পর্যন্ত রিয়ালের বিপক্ষে ৪-২ গোলে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে বার্সা।
আইএইচএস/
Advertisement