গ্রীষ্মের তাপদাহে বড়দেরই হাঁসফাঁস অবস্থা, আর ছোট্ট শিশুরা? তাদের তো আরও বেশি কষ্ট হয়। এমনকি শিশুদেরও হিট স্ট্রোক হতে পারে। জেনে নিন রোদ, ঘাম, আর্দ্রতার মধ্যেও কীভাবে আপনার শিশুকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখবেন-
Advertisement
গরমে শিশুর শরীর থেকে পানি দ্রুত বেরিয়ে যায়। তৈরি হয় পানিশূন্যতার সম্ভাবনা। তাই বারবার পানি পান করান। বুকের দুধ খাওয়া শিশুদের ক্ষেত্রে মায়ের দুধই যথেষ্ট, তবে বড় শিশুদের ডাবের পানি, ফলের রস ও প্রয়োজনে ওরস্যালাইন দিতে পারেন। বাইরে বের হলে পানির বোতল সঙ্গে রাখুন। শিশুরা নিজে থেকে পানি খাওয়ার কথা বলেনা অনেক সময়। তাই খেয়াল করুন আপনার শিশু দিনে কতোটা পানি খাচ্ছে।
২. হালকা পোশাকটাইট জামা বা সিনথেটিক কাপড়ে শিশুরা ঘেমে নেয়ে অস্বস্তি বোধ করে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই নিজে থেকে অস্বস্তির কারণ বুঝতে পারেনা। তাই গরমে শিশুকে নরম সুতি কাপড়ের হালকা রঙের পোশাক পরান, যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে। রোদে বের হলে ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করুন।
৩. ঠাণ্ডা রাখুন ঘরঘরের তাপমাত্রা যেন বেশি না বাড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। দিনের বেলা ঘরের পর্দা টেনে রাখুন, ফ্যান বা এয়ার কুলার চালান। তবে সরাসরি এসি বা ফ্যানের বাতাসের নিচে শিশুকে রাখবেন না। ভেজা কাপড় দিয়ে মাঝেমধ্যে শরীর মুছে দিন।
Advertisement
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা – এই সময়টা রোদ সবচেয়ে তীব্র থাকে। সম্ভব হলে এই সময়ে শিশুকে বাইরে না নিয়ে যাওয়াই ভালো। বের হলে শিশুদের উপযোগী সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। খোলামেলা জায়গায় ছায়ায় খেলাধুলা করার ব্যবস্থা করে দিন।
৫. হালকা ও পুষ্টিকর খাবারগরমে ভারী খাবার হজম করতে শিশুর অসুবিধা হয়। তাই হালকা, তরল ও ভিটামিনযুক্ত খাবার দিন। যেমন ফলের পাল্প, দই-চিড়া, স্যুপ, শাকসবজি। মসলাদার বা ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
৬. প্রখর রোদে ত্বকের যত্নঘাম ও রোদের কারণে ত্বকে র্যাশ, ঘামাচি বা সানবার্ন হতে পারে। তাই শিশু স্কুলে বা খেলার সময় বেশি ঘামলে দিনে একাধিক বার গোসল করান। তবে শিশুর ত্বকের উপযোগী নরম সাবান ব্যবহার করুন। ঘামাচি এড়াতে ট্যালকম পাউডার বা ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
৭. পর্যাপ্ত বিশ্রামগরমে শিশুরা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। তাই এসময় পর্যাপ্ত ঘুম খুব জরুরি। দিনে আপনার শিশুর ছোট্ট একটি ন্যাপ নিশ্চিত করুন। ঘুমানোর সময় হালকা সুতি কাপড় পরান এবং ঘর ঠাণ্ডা রাখুন।
Advertisement
যদি জ্বর, ডায়রিয়া বা পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দেয়, দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। খাবার স্যালাইন ঘরে রাখুন।
গরমে শিশুরা একটু বিরক্ত ও অস্থির হতে পারে। তাদের সঙ্গে ধৈর্য্য ধরুন, ঠাণ্ডা পরিবেশে খেলার ব্যবস্থা করুন।
এএমপি/এমএস