চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নিয়ে সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছে চবি ক্লাব অ্যালায়েন্স। ক্লাব অ্যালায়েন্স ক্যাম্পাসের ৪০ টি ক্লাব নিয়ে গঠিত।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন ক্লাব অ্যালায়েন্সের প্রতিনিধিরা।
প্রস্তাবনায় অধিকার আদায়ের জন্য নারী নেতৃত্ব সৃষ্টির দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেজন্য সহকারী সাধারণ সম্পাদক ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে আলাদাভাবে নারী শিক্ষার্থী রাখার প্রস্তাবনা করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করার জন্য জাতিগত সত্তা ও নৃগোষ্ঠী বিষয়ক সম্পাদক রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবনায় বলা হয়, চাকসুর সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিভাগ বা ইন্সটিটিউটের নিয়মিত স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, আবাসিক হলের অধিবাসী বা সাথে সংশ্লিষ্ট এবং বার্ষিক সদস্যপদ ফি প্রদানকারী শিক্ষার্থীরা বিবেচিত হবেন। এগুলো ব্যতীত ভিন্ন ডিগ্রি বা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন না।
Advertisement
ক্লাব অ্যালায়েন্স তাদের প্রস্তাবনায় অনেকগুলো নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দিয়েছে। পদগুলো হলো- সহকারী সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ), সহকারী সাধারণ সম্পাদক (নারী), ক্রীড়া সম্পাদক (নারী), দপ্তর সম্পাদক, জাতিগত সত্তা ও নৃগোষ্ঠী বিষয়ক সম্পাদক, ক্যারিয়ার ও পেশাগত উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক, প্রকাশনা ও গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও পরিবহন এবং আবাসন বিষয়ক সম্পাদক।
প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, কার্যনির্বাহী সংসদকে বছরে ৪টি ত্রৈমাসিক সভার আয়োজন করতে হবে। সংসদের মেয়াদ হবে এক বছর। তবে দশম মাস থেকে সভাপতি অর্থাৎ উপাচার্য পরবর্তী নির্বাচনের কাজ শুরু করবেন। সংস্কার প্রস্তাবনায় সদস্যদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব রাখার জন্য বলা হয়েছে। সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ ব্যতীত যে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও নিয়মভঙ্গের অভিযোগে এক তৃতীয়াংশ সদস্যের লিখিত অনুরোধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে। দুই তৃতীয়াংশ ভোটে পাশ হলে সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। এছাড়াও সংবিধান সংশোধন, কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব, সংসদ বিলুপ্তির নীতিমালাসহ নানা বিষয়ে ক্লাব এলায়েন্সের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ক্লাব অ্যালায়েন্সের প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন, মো. মোজ্জাম্মেল, রাজিউর রহমান আরিফ ও ইউশা জামান তুর্য উপস্থিতি ছিলেন।
ক্লাব অ্যালায়েন্সের প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, চাকসু শিক্ষার্থীদের অধিকার। চাকসুর যে গঠনতন্ত্র তা ১৯৯০ সালে প্রণয়ন করা হয়। তখন প্রণীত গঠনতন্ত্র কোনো একটি ক্লাবের গঠনতন্ত্রের মতো মনে হবে, বর্তমান বাস্তবতায় যা অনেক ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক। তাই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা এই সংস্কার প্রস্তাব রেখেছি।
Advertisement
আহমেদ জুনাইদ/এমএন/জিকেএস