ভারতীয় সামরিক অভিযানে পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ অঞ্চলের নাগরিকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার (৭ মে) রাতে নগরের নাঙ্গাল সাহাদান এলাকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমপ্লেক্সে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানায় একটি মসজিদসহ কয়েকটি স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যায়।
Advertisement
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউনুস শাহ জানান, এখানে একটি স্কুল, কলেজ, হোস্টেল ও মেডিকেল কমপ্লেক্স রয়েছে। প্রথম তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র একের পর এক এসে পড়ে, আর চতুর্থটি পাঁচ থেকে সাত মিনিটের ব্যবধানে আঘাত হানে। তিনি বলেন, মসজিদটিও সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষক ওয়াহিদ বলেন, উদ্ধার কাজ চললেও স্থানীয়রা আরও হামলার আশঙ্কায় ভীত হয়ে পড়েছেন। আমরা আতঙ্কিত। জানি না কী করবো। মানুষজন ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন। চারদিকে শুধু অনিশ্চয়তা।
ওয়াহিদের প্রতিবেশী শাহনেওয়াজ বলেন, আমরা আগেই আঁচ করেছিলাম কিছু একটা ঘটবে। এখন সেই ভয় বাস্তব হয়ে উঠেছে। তিনি জানান, তিনি ও তার পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন।
Advertisement
এদিকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ হামলা উত্তেজনা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে করা হয়নি, বরং এই হামলা ছিল সুনির্দিষ্ট, পরিমিত। নয়াদিল্লি দাবি করেছে, বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়।
কিন্তু মুজাফফরাবাদ ও আশপাশের এলাকায় বসবাসকারী মানুষ বলছেন, তাদের বসতি ও ধর্মীয় স্থাপনাই ছিল লক্ষ্য। ওয়াহিদ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আমাদের মসজিদে কেন হামলা হলো বুঝে উঠতে পারছি না। আশপাশের ঘরবাড়ির বহু নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। এটা তো একটি সাধারণ মসজিদ, যেখানে আমরা দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি। এখানে তো কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখিনি।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ
Advertisement