দেশজুড়ে

ধুলাবালির ওপর কার্পেটিং, এক বছরও টিকবে না বলছেন স্থানীয়রা

ধুলাবালির ওপর কার্পেটিং, এক বছরও টিকবে না বলছেন স্থানীয়রা

নিয়ম অনুযায়ী প্রাইম কোট না দিয়ে নামেমাত্র ধুলাবালির ওপরে কার্পেটিং করে নির্মাণ করা হচ্ছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতসংলগ্ন সড়কের কাজ। পাঁচ কিলোমিটারের এ সড়কটিতে ১৬ ফুট প্রস্থ এবং ৪০ মিলিমিটার কার্পেটিং করার কথা থাকলেও তা অনেকাংশেই ব্যবহার করা হচ্ছে না। এভাবে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কুয়াকাটার মেরিন ড্রাইভ সড়ক হিসেবে পরিচিত সড়কটি নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এলজিইডির বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের আওতায় ৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন। কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে ধোলাই বাজার পর্যন্ত দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার এ সড়কে এমন নিম্নমানের কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, বঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষা এই সড়কটি (বেড়িবাঁধ) সিডর, আয়লাসহ প্রতিবছর অসংখ্য বন্যা আর দীর্ঘ কয়েক বছরের বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে রক্ষা করেছে। শুধু তাই নয়, পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের মেরিন ড্রাইভ হিসেবে ব্যবহৃত কুয়াকাটা সর্বব্যস্ত সড়কটি প্রথম থেকেই সংস্কার হচ্ছে অনিয়মের মধ্য দিয়ে। সড়কটি ভালোভাবে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘যেভাবে কাজ হচ্ছে বৃষ্টি হলে এই রাস্তা এক বছরের বেশি টিকবে না। আমরা এই রাস্তা চাই না। আমরা টেকসই রাস্তা চাই।’

Advertisement

পাঞ্জুপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ নাঈম বলেন, ‘নামেমাত্র প্রাইমকোট, তার ওপরে কার্পেটিং করেছে; কোনো ফিনিশিং হয়নি। এই রাস্তা আমাদের কোনো উপকারে আসবে না। এক বছর পর নষ্ট হয়ে যাবে।’

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, ‘সড়কের কাজে অনিয়ম হলেও সংশ্লিষ্টরা দেখেও না দেখার ভান করছেন। কুয়াকাটার স্বার্থে সড়কটি সুন্দর হোক, এটা আমরা চাই।’

এ বিষয়ে বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী বা তার প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তবে সাব-কন্ট্রাক্টর ফোরকান হোসেন বলেন, এলজিইডি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুসারে সড়ক পাকা করার কাজ হচ্ছে। কোনো অনিয়ম করা হচ্ছে না।

Advertisement

এলজিইডি কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান বলেছেন, কিছু স্থানে কার্পেটিং ৪০ মিলিমিটারের কম পেয়েছি। সেগুলো ঠিক করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিডিউল অনুযায়ী কার্য সম্পাদনের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসআর/জেআইএম