দেওয়ালজুড়ে গর্ত, ছাদ থেকে সিমেন্টের টুকরো ছিটকে পড়েছে, ফ্যানে একটি ব্লেড নেই, বাসনপত্র ও অন্যান্য গৃহস্থালি জিনিসপত্র মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে- ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত পুঞ্চ অঞ্চলের একটি বাড়ির চিত্র ঠিক এমনই।
Advertisement
ভারতশাসিত কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর মধ্যে পুঞ্চ অন্যতম, যেখানে আন্তঃসীমান্ত গোলাগুলি বিনিময়ের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
ভারত জানিয়েছে, পহেলগামে পর্যটকদের নিশানা করে চালানো হামলার পর গত ১৪ দিন ধরে পাকিস্তান বারবার ‘সিজ ফায়ার’ চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। সীমান্তে ভারতীয়কে ‘নিশানা’ করে হামলা চালিয়েছে, যাতে ১৬ জন নিহত হয়েছে। ইসলামাবাদ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
পুঞ্চের স্থানীয় বাসিন্দা মেহতাব দীন (৪৮) বিবিসির সংবাদদাতাকে বলেছেন, ‘আমি, আমার স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে ছিলাম, সেই সময় একটা বিকট বিস্ফোরণ হয়। আমরা সবাই মেঝেতে পড়ে যাই। কাচের টুকরো এসে আমার বুকে আঘাত করে।’
Advertisement
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার ভোরে পাকিস্তান ও পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে ভারতের হামলা চালানোর পর পাকিস্তানের দিক থেকে থেকে কামানের গোলাবর্ষণ জোরদার হয়েছে। স্থানীয়রা বিবিসিকে জানিয়েছেন, পুঞ্চে বসবাসরত আনুমানিক ৪০ হাজার মানুষের বেশিরভাগই এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।
স্থানীয় হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা পর মেহতাব দীন পুঞ্চে নিজের বাড়িতেই ফিরেছেন। তবে তার প্রতিবেশীদের অনেকেই নিরাপদ এলাকায় চলে গেছেন।
মেহতাবকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনিও চলে যেতে চান কি না। উত্তরে তিনি বলেন, আমরা কোথায় যাবো? আমরা ছোট ব্যবসা আছে। সবকিছু ফেলে রেখে চলে যেতে পারি না। এই বাড়ি আমাদের স্বপ্ন, এটিকে ছাড়া আমরা বাঁচবো কী করে?
সূত্র: বিবিসি
Advertisement
এসএএইচ