দেশজুড়ে

সীতাকুণ্ডে ক্যাম্পিংয়ে গিয়ে ছিনতাইয়ের কবলে চার পর্যটক

সীতাকুণ্ডে ক্যাম্পিংয়ে গিয়ে ছিনতাইয়ের কবলে চার পর্যটক

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় ক্যাম্পিংয়ে গিয়ে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছেন চার পর্যটক। মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতে উপজেলার বাড়বকুণ্ড সমুদ্রসৈকত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

Advertisement

ছিনতাইয়ের কবলে পড়া চার পর্যটক হলেন- আইয়ান শাহরিয়ার নাঈম, নাহিদুল আলম শুভ, রিফাত আহম্মেদ ও আসিফ জামান শুভ।

ঘটনার খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ বুধবার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদে যায় এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনা স্বীকার করেননি থানার ওসি।

ছিনতাইয়ের কবলে পড়া আইয়ান শাহরিয়ার নাঈম জানান, তারা চার বন্ধু মিলে দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বেড়াতে যান এবং ক্যাম্পিং করে রাত কাটান। চারদিন আগে বাড়বকুণ্ড সমুদ্র সৈকত এলাকায় ক্যাম্পিং করেন। সঙ্গে লোকাল গাইড ছিলেন রাকিব নামের এক ছেলে। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১টা ২০ মিনিটের সময় অন্ধকারের মধ্যে ছুরি, রাম দা, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা চারজন ছিনতাইকারী তাদের জিম্মি করে। এসময় মানিব্যাগ থেকে বের করে সব টাকা নিয়ে যায়। সবার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে অন্যগুলো দিয়ে দিলেও তারটি নিয়ে যায়। ১৪ মিনিট একটা ভয়ানক পরিস্থিতিতে ছিলেন। তারা রান্না করা খাবারও ফেলে দিয়ে চলে যায় বলে দাবি এই পর্যটকের।

Advertisement

তিনি বলেন, সেখানে আমরা কোনোভাবে ভয়ের মধ্যে রাত কাটাই। কিছুতেই ঘুম আসছিল না। পরদিন বেলা ১১টার সময় লোকাল গাইড রাকিবকে এদের সম্পর্কে খোঁজ নিতে বলি। সে নেব, নিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপণ করে। তার আচরণ দেখে মনে হচ্ছে সেও ছিনতাইকারীদের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি জানানোর পর স্থানীয় মহিউদ্দিন নামে একজন আমাদের ওই এলাকার মেম্বারের কাছে নিয়ে যান। ওখান থেকে বেরিয়ে জানতে পারলাম ছিনতাইয়ে জড়িত একজন মেম্বারের ভাতিজা। লোকাল গাইড রাকিব তার চাচাতো ভাই। পরে মেম্বার ওই ছেলেদের খবর দিলে প্রায় ২ ঘণ্টা পর আমার মোবাইল হাতে পাই। তবে ফোনে যা ছিল, সব ডিলেট করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যারা ঘোরাঘুরি করে তাদের উচিত বাড়বকুণ্ড এলাকায় না যাওয়া। না হয় আমাদের মতো বিপদে পড়তে হবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় মহিউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ছেলেগুলো আমার কাছে এলে আমি খায়রুল মেম্বারের কাছে নিয়ে যাই। এরপর তিনি মোবাইল উদ্ধার করে দেন।

তবে এ বিষয়ে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার খায়রুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।

Advertisement

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনা তিনি অবগত নয়। এ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুই জানেন না।

তবে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় তদন্ত করতে বুধবার পরিষদে পুলিশ আসছিল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) লাবীব আবদুল্লাহকে ফোন দিলে তিনি এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার এসআই ইদ্রিসের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

তবে এসআই ইদ্রিসের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও সংযোগ স্থাপন করা যায়নি।

এম মাঈন উদ্দিন/এফএ/এএসএম