জাতীয়

অ্যাম্বুলেন্সকে মাইক্রোবাস বানিয়ে সার্জেন্টের স্ত্রীর ব্যবহার

অ্যাম্বুলেন্সকে মাইক্রোবাস বানিয়ে সার্জেন্টের স্ত্রীর ব্যবহার

অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে নিবন্ধন নিয়ে পরে মাইক্রোবাস বানিয়ে ব্যবহার করছেন ট্রাফিক সার্জেন্ট দ্বীন মোহাম্মদ দিনারের স্ত্রী তানহা আক্তার মিলি। বিষয়টিসহ বেশ কিছু অভিযোগে চট্টগ্রাম বিআরটিএ বিভাগীয় অফিস, জেলা কার্যালয় এবং মেট্রো সার্কেল-২ এ এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক এমরান হোসেন।

Advertisement

অভিযানে অ্যাম্বুলেন্সকে মাইক্রোবাস বানিয়ে ব্যবহারের বিষয়টি ট্রাফিক সার্জেন্ট দ্বীন মোহাম্মদ দিনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক টিম। দিনার বর্তমানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক উত্তর বিভাগে কর্মরত। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের বিষয়টি ট্রাফিক সার্জেন্ট দিনার স্বীকার করেন বলে জানায় দুদক টিম।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, বিআরটিএর দাপ্তরিক কাজে দুর্নীতি ও সেবাগ্রহীতাদের হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিআরটিএর মেট্রো-২ সার্কেল, চট্টগ্রাম জেলা অফিস ও বিভাগীয় অফিসে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম ছদ্মবেশে গ্রাহকসেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন কাউন্টারের যাবতীয় কার্যক্রম নজরদারি করে এবং সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে।

অভিযান পরিচালনাকালে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া, গাড়ির ফিটনেস সনদ ইস্যু বা রোড পারমিট দিতে সংস্থাটির কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী দালালদের যোগসাজশে দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানির বিষয়ে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়।

Advertisement

এ ব্যাপারে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক এমরান হোসেন বলেন, অভিযানের সময় কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্সের নামে নিবন্ধন নিয়ে মাইক্রোবাস বানিয়ে ব্যবহারের অভিযোগটির বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। পাশাপাশি অভিযানের সার্বিক বিষয়গুলো অধিকতর খতিয়ে দেখার জন্য বিআরটিএ থেকে রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম অতি দ্রুত কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে।

এমডিআইএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম