পথে ৫২ হাজার ৫০০ টাকা কুড়িয়ে পেয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার বাসিন্দা মিজানুর রহমান। পরে মালিককে খুঁজে বের করে টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি।
Advertisement
বুধবার (৭ মে) দুপুরে প্রকৃত মালিকের কাছে টাকা ফেরত দেন মিজানুর রহমান। তিনি আখাউড়া পৌর শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা।
মিজানুর রহমান জানান, সকালে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের সামনের সড়কে তিনি ছোট দুটি শপিংব্যাগ কুড়িয়ে পান। পরে ব্যাগ খুলে তার ভেতরে একটি মোবাইল ও একটি ওয়ালেট দেখেন। ওয়ালেটের ভেতরে টাকার সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখতে পান। ওই এনআইডির ঠিকানা অনুযায়ী উপজেলা মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শামসু মিয়ার ছেলে মো. আলমগীর মিয়ার বাড়িতে যান মিজানুর রহমান।
বাড়িতে গিয়ে আলমগীরকে না পেয়ে ফোনে যোগাযোগ করেন। পরে আখাউড়া পোস্ট অফিসের সামনে আলমগীরের সঙ্গে দেখা করেন মিজানুর। আলমগীর দুটি ব্যাগের রংসহ ভেতরে কী কী ছিল তা বর্ণনা করেন। এনআইডির ছবি ও সবকিছু সঠিক বর্ণনা ঠিক পাওয়ায় মিজানুর রহমান আলমগীরকে টাকা, মোবাইলসহ দুটি শপিংব্যাগ বুঝিয়ে দেন।
Advertisement
কলেজপাড়ার বাসিন্দা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সিয়াম সরকার বলেন, ‘মিজানুর রহমান আমাদের প্রতিবেশী।আংকেল ব্যাগ দুটি পেয়ে আমাকে ডেকে বলেন। পরে আমি প্রথমে ব্যাগ দুটির ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেই।পরে ব্যাগে থাকা এনআইডির ঠিকানা অনুযায়ী আমিসহ মিজান আংকেল একটা অটোরিকশায় উপজেলার মনিয়ন্দ এলাকার আলমগীর মিয়ার বাড়িতে যাই। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
হারানো টাকা, মোবাইল ফেরত পেয়ে উচ্ছ্বসিত আলমগীর মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি টাকাটা হারিয়ে পাগলপ্রায় ছিলাম। আখাউড়ার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করছিলাম। এমন সময় বাড়ি থেকে ফোন আসে। পরে মিজানুর রহমান কথা বলেন। তিনি সবকিছু ফেরত দিয়েছেন।’
আলমগীর মিয়া আরও বলেন, ‘বর্তমান সময়ে মিজানুর রহমানের মতো লোকের বেশ অভাব রয়েছে। তিনি সততার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জেআইএম
Advertisement