যমুনা সেতুতে রেলপথ থাকলেও আর চলছে না ট্রেন। ফলে পরিত্যক্ত ও অবহেলায় পড়ে রয়েছে সেটি। এজন্য রেলপথটির অপসারণ চেয়ে সেতু বিভাগে পৃথক দুটি চিঠি দিয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
সোমবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে যমুনা সেতু সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সেতু বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, এক লেন সড়কের মাপ সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৩ মিটার। অথচ এই সেতুর একটি লেনের মাপ ৬ দশমিক ৩ মিটার। এ কারণেই গাড়ির চাপ বাড়লে সেতুর ওপর দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকরা।
এদিকে পরিত্যক্ত ওই রেলপথের প্রস্থ সাড়ে ৩ মিটার। এটি অপসারণ করা হলে সেতুর লেন দুটি আরও প্রসস্ত করা সম্ভব হবে। এসব কারণে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা সেতু বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
চিঠি পাঠানোর বিষয়টি জানিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, রেল সেতু চালু হওয়ায় পুরাতন সেতুর রেলপথ এখন পরিত্যক্ত। সেতুর গুরুত্বপূর্ণ অংশ অবহেলায় নষ্ট না করে সড়ক প্রসস্ত করার প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এ বিষয়টি অবশ্য সচিব মহোদয় দ্রুত দেখবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন।
১৯৯৮ সালে সড়ক ও রেলপথ নিয়ে যমুনা সেতুটি চালু হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল ও সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতিসীমা। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয় ট্রেন যাত্রীদের৷ এই দুর্ভোগ এড়াতে সেতুটির ৩০০ মিটার অদূরে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের দীর্ঘতম ‘যমুনা রেল সেতু’। যা গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করে। এরপর থেকেই যমুনা সেতুতে ট্রেন চলাচল একদম বন্ধ হয়ে যায়।
এম এ মালেক/এফএ/জেআইএম
Advertisement