রাজধানীর বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টারে আগুন লাগার পরে ভবনের দুইতলার গ্লাস ভেঙে লাফ দেন কয়েকজন। তাদের মধ্যে দুজনের পায়ে আঘাত লাগে।
Advertisement
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটিতে আগুন লাগার পর ভবনের দুইতলা থেকে ভয়ে বেশ কয়েকজন লাফিয়ে পাশের ভবনের ছাদে নামেন। এমন সময় দুজন পায়ে আঘাত পান।
রাত সাড়ে ৭টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই ভবনের সামনে থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হচ্ছিল। বেইলি রোডের সব দোকান ছিল বন্ধ। ভবনটির দুই এবং তৃতীয় তলার পশ্চিম পাশের গ্লাস ভেঙে মানুষকে বের হতে দেখা যায়। শপিং মলের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ সদস্যরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভবনটির নিচতলা কাপড়, কসমেটিকস ও জুয়েলারির দোকান দেখা গেছে।
মিরপুর কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী জুনায়েদ আল জাবের তাওসীফ বেইলি রোডে এসেছিলেন মার্কেট করতে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ক্যাপিটাল সিরাজ টাওয়ারের সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলাম। হঠাৎ করে ধোঁয়া দেখতে পাই। এরপর নিচে নেমে দেখি ভবনের বেজমেন্টে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। অনেককে দেখলাম দুই-তিনতলা থেকে গ্লাস ভেঙে লাফ দিচ্ছিল।
Advertisement
আরও পড়ুন
ক্যাপিটাল সিরাজ ভবনের বেজমেন্টে ছিল সিলিন্ডার ও জেনারেটর বেইলি রোডের সিরাজ টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ছাদ থেকে উদ্ধার ১৮ জনআগুন লাগা ভবনটির নিরাপত্তাকর্মী শহীদুল ইসলাম বলেন, আমার ডিউটি টাইম শুরু হবে ৯টার দিকে। ডিউটির জন্য বাসায় রেডি হচ্ছিলাম। এমন সময় আগুনের সংবাদ পাই। দৌড়ে এসে দেখি ভবনটির নিচতলায় আগুন লেগেছে। প্রচুর ধোঁয়া বের হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভবনের বেজমেন্টে বিভিন্ন পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া বেজমেন্টে জেনারেটর ও বৈদ্যুতিক লাইনের তার রয়েছে। জেনারেটর বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করেন তিনি।
ভবনটির নিচতালায় কে জে ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন জুয়েলার্সের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, আগুন লাগার সময় আমি নামাজে ছিলাম, কর্মচারীরা দোকানে ছিল। এসে দোকানের তালা দিতে চাচ্ছিলাম কিন্তু ভেতরে যেতে দেয়নি। দোকানের কী অবস্থা জানা নেই।
Advertisement
টিটি/বিএ/এমএস