কিশোরগঞ্জের ইটনায় ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় কলেজছাত্রের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এসময় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
Advertisement
সোমবার (৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আব্দুল হামিদ সরকারি কলেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাজিব ইসলাম রাজু ও ছাত্রদল কর্মী রোহান মিয়া (১৯)। গুরুতর আহত অবস্থায় রোহানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২ মে জেলা ছাত্রদল সভাপতি মো. মারুফ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ নেভিন স্বাক্ষরিত একটি পত্রে ইটনা আব্দুল হামিদ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সকালে নবগঠিত কমিটির সদস্যরা আনন্দ মিছিল করার প্রস্তুতির নিলে অপর পক্ষের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাজিব ইসলাম রাজু ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রোহান মিয়া গুরুতর আহত হন।
Advertisement
এ বিষয়ে রাজিব ইসলাম রাজু জানান, আমরা আনন্দ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজমানুর রহমান সুজন আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে হামলা করে। এসময় একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রোহান মিয়ার ডান পায়ের গোড়ালির রগ কেটে দেয় সন্ত্রাসীরা। হামলায় আমি নিজে আহত হয়েছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইটনা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজমানুর রহমান সুজন বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র। রাজুকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ ভাইকে বলে আমিই আহ্বায়ক বানিয়েছি। পায়ের রগ কর্তনের ঘটনা আজকের সংঘর্ষের বিষয় নয়, এটি কলেজের বাইরে অন্য একটি ঘটনায় রোহানের পা কেটে গেছে।
তবে ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর ইকবাল জানান, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তাছাড়া আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশের ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আহত রোহানের ডান পায়ের রগ কাটা গেছে। তিনি বর্তমানে পুরুষ সার্জারি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন।
Advertisement
এসকে রাসেল/আরএইচ/এমএইচআর/এমএস