সচিবালয়ের আওয়ামী লীগ এখন বিএনপি হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
Advertisement
তিনি বলেন, কায়েমি স্বার্থ বজায় রাখতেই সচিবালয়ের কর্তা ব্যক্তিরা আগের ধাঁচেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারাই তো একটি বালিশ কেনার জন্য ২২ হাজার টাকা খরচ দেখিয়েছেন। এই কর্মকর্তাদের বহাল রেখে কীভাবে সংস্কার সম্ভব?
সোমবার (৫ মে) ‘৫ মে হেফাজতের ওপর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নৃশংসতম গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘প্রজন্ম একাডেমি’ এ সভার আয়োজন করে।
গয়েশ্বর বলেন, বিভিন্ন দপ্তরে পোস্টমর্টেম করে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা কীভাবে রাতারাতি বিএনপি হয়ে গেলো? এত বিএনপির লোক এলো কোথা থেকে?
Advertisement
তিনি আরও বলেন, জুনে নির্বাচন হবে—এই গ্যারান্টি কে দেবে? নানা অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করা হচ্ছে। এখন শেখ হাসিনা তার অতীতের কাজের প্রায়শ্চিত্ত করছেন। আজ যারা নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে, তারাও একই পরিণতি ভোগ করবে।
আরও পড়ুন
৫ মে শাপলা চত্বরে ৯৩ শহীদের তথ্য প্রকাশ করলো হেফাজত ড. ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিলো স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে কতটা সফল বিএনপি?তিনি বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন একটি বড় ধরনের সংস্কার। সংগঠন, সংবিধান, আইন—সবই পরিবর্তনযোগ্য, ধর্মীয় বিধান ছাড়া। কিন্তু কিছু জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবী গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংস্কারকে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, শেখ হাসিনা দুই শতাধিক নাটক করেছেন। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার বেশি হয়েছে, কারণ সবাই জানে বিএনপির বিরুদ্ধে বললে কিছু হয় না। সংবাদপত্র স্বাধীন নয়, কারণ মালিকরা সরকারের প্রতি দায়বদ্ধ।
Advertisement
বাংলাদেশ পেশাজীবী জোটের সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে এবং প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, পেশাজীবী জোটের এস এম মিজানুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন, এনজিও ব্যক্তিত্ব হারুনুর রশিদ, গণতান্ত্রিক জাগ্রত বাংলাদেশের মো. জহিরুল ইসলাম কলিম, সাংস্কৃতিক নেতা এম আহমেদ প্রমুখ।
কেএইচ/ইএ/এমএস