নাজমুল হোসেন শান্তর জায়গায় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক লিটন দাস। সেটা মোটামুটি অনুমিতই ছিল। ধারণা করা হয়েছিল, লিটনের সাথে সহ-অধিনায়ক করে দলে ফেরানো হতে পারে মেহেদি হাসান মিরাজকে।
Advertisement
কিন্তু সবাইকে অবাক করে আরব আমিরাতের বিপক্ষে হতে যাওয়া দুই ম্যাচ আর পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সহ অধিনায়ক করা হয়েছে শেখ মেহেদিকে।
বলে রাখা ভাল, শেখ মেহেদি আর মেহেদি হাসান মিরাজ দু’জনই অফস্পিনার। মিরাজ টপ ও মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে পারেন। তার ব্যাটিং শৈলিটা মোটমুটি সাজানো-গোছানো। শেখ মেহেদির ততটা নয়। তিনি মূলত অফস্পিনার। ২০ ওভারের ফরম্যাটে তার অফস্পিনটাও কার্যকর।
তারপরও শেখ মেহেদিকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সহ অধিনায়ক করা নিয়েও প্রশ্ন উঠলো। রোববার বিকেলে শেরে বাংলার কনফারেন্স হলে প্রশ্ন করা হলো, শেখ মাহদিতো ঘরোয়া ক্রিকেটেও সেভাবে ক্যাপ্টেন্সি, ভাইস ক্যাপ্টেন্সি করেন না। তাকে হঠাৎ কি বিবেচনায় ভাইস ক্যাপ্টেন করা হলো?
Advertisement
ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিমের ব্যাখ্যা, ‘যে দলটা আছে তাতে অভিজ্ঞ প্লেয়ার খুব কম। আর শেখ মেহেদি ভাল পারফরমার। সে এ মুহূর্তে দলের অটোমেটিক চয়েজ। তার যে অভিজ্ঞতা আছে, যে প্র্যাকটিক্যাল নলেজ আছে; তা আমরা প্রায়ই দেখতে পাই। সিলেক্টর, কোচ সবার সাথে আলোচনা করেই তাকে সহ-অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ মুহূর্তে তাকে ভাইস ক্যাপ্টেন করলে দেখতে পাবো, জানা যাবে সে কেমন করে? কিভাবে নিজের সামর্থ্যের প্রয়োগ ঘটায়!’
তবে নাজমুল আবেদিন ফাহিমের কথায় পরিষ্কার যে, শেখ মেহেদিই দীর্ঘ মেয়াদে লিটন দাসের সহ-অধিনায়ক নন। তাকে শুধু এ সিরিজের জন্যই ভাইস ক্যাপ্টেন করা হয়েছে।
ফাহিমের নিচের মন্তব্যে সেটাই পরিষ্কার, ‘আসলে শেখ মেহেদিকে শুধু আরব আমিরাতের দুটি এবং পাকিস্তানের পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমাদের ইচ্ছে আছে, এভাবে ২/৩ জনকে সিরিজ বাই সিরিজ সহ-অধিনায়ক বানিয়ে পরখ করবো এবং তাদের মধ্যে যে ভাল করবে, তাকেই কন্টিনিউ করবো।’
এআরবি/আইএইচএস
Advertisement