দেশজুড়ে

গুচ্ছগ্রামের জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবন

গুচ্ছগ্রামের জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবন

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের খাসেরহাটের সরকারি গুচ্ছগ্রামের বেশিরভাগ টিনের ঘরগুলো সংস্কারের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি পড়ে। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে সরকারিভাবে কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের খাসেরহাট গ্রামে খাসেরহাট গুচ্ছগ্রামে ২৪০টি টিনের ঘর নির্মাণ করা হয়। পরে আর ঘরগুলো সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে টিনের এই ঘরগুলোর বেশিরভাগই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো ঘরের চাল নেই, বেড়া নেই, কোনোটার আবার দরজা-জানালা নেই। কোনোটির চাল থাকলেও তা ছিদ্র হয়ে গেছে। এসব ঘরে একটু বৃষ্টি হলেই পানি পরে। সামান্য বাতাসে চাল উড়ে যায়।

দীর্ঘদিন ধরে বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় অনেকেই বসতঘর রেখে অন্যত্র চলে গেছেন। যারা আছেন, তারা অনেক কষ্টে আছেন। এখানকার বাসিন্দাদের কেউ দিনমজুর, কেউ শ্রমিক, কেউ ভ্যানচালক কেউবা রিকশাচালক। নিজের ঘরবাড়ি না থাকায় তারা সরকারি এই গুচ্ছগ্রামে থাকেন।

গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‌‘নিজের জায়গা-জমি না থাকায় প্রায় ১৪ বছর ধরে পরিবার নিয়ে এখানে বসবাস করছি। চার বছর আগে ঝড়ে ঘরের চালা উড়ে যায়। পরে কোনোরকমমেরামত করে থাকছি। চাল দিয়ে পানি পরে। পলিথিন ও ইট দিয়ে বৃষ্টির পানি আটকানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তাতে কাজ হয় না। সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরের সব কিছু ভিজে যায়।’

Advertisement

গুচ্ছগ্রামের আরেক বাসিন্দা সীমা বেগম বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এখানে বসবাস করতে হচ্ছে। কী করবো? যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ঘরের চালা, বেড়া, দরজা, জানালা সব অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। নিজেরাই কোনোরকমভাবে ঠিকঠাক করে বসবাস করছি। আমরা অনেক কষ্টে আছি।’

এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে এরইমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ঘরের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বিষয়টি লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে খুব শিগগির নতুন ঘর নির্মাণ শুরু সম্ভব হবে। এটি হলে গুচ্ছগ্রামের মানুষজনের কষ্ট দূর হবে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এসআর/এমএস

Advertisement