খেলাধুলা

শামীম পাটোয়ারী ৪ ওভার বোলিং করলে কেন মিরাজকে খেলানো হলো না?

শামীম পাটোয়ারী ৪ ওভার বোলিং করলে কেন মিরাজকে খেলানো হলো না?

এটা সত্য টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মেহেদী হাসান মিরাজের শেষ এক বছর ভাল কাটেনি। ইতিহাস জানাচ্ছে, শেষ ২০ ম্যাচে মিরাজের উইকেট মোটে ১১টি। আর তার চেয়ে বড় কথা ওই ম্যাচগুলোয় অফস্পিনার মিরাজ পুরো ৪ ওভার বোলিং করেছেন মাত্র একটি ম্যাচে। সেই ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন অফস্পিনার মিরাজ। সেটা ছিল ২০২৩ সালের ১২ মার্চ। মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বাংলাদেশ জিতেছিল ৪ উইকেটের ব্যবধানে। ১৬ বলে ২০ রান আর ১২ রানে ৪ উইকেট দখল করে অলরাউন্ড পারফরমেন্সে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ সেরা পারফরমারের পুরস্কারও জিতেছিলেন মিরাজ।

Advertisement

তার মানে ইতিহাস সাক্ষী, তাকে ঠিকমত ব্যবহার করতে পারলে এবং তার ওপর বিশ্বাস রাখতে পারলে মিরাজ প্রতিদান দিতে জানেন; কিন্তু কেন যেন বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মিরাজের বোলিং সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখতে চান না বা রাখেন না।

আজও ঠিক তাই দেখা গেল। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তান লাইন আপে কয়েকজন বাঁ-হাতি ব্যাটার থাকার পরও একমাত্র অফস্পিনার হিসেবে খেলানো হলো শেখ মেহেদিকে।

শুরুতে একটি উইকেট নিতে পারলেও পরের দিকে তিনি সুবিধা করতে পারছিলেননা। তাই বাধ্য হয়ে অনিয়মিত অফস্পিনার শামীম পাটোয়ারীকে দিয়েও পুরো ৪ ওভার বোলিং করানো হলো।

Advertisement

তা দেখে সচেতন ক্রিকেট অনুরাগীদের প্রশ্ন, অকেশনাল অফস্পিনার শামীম পাটোয়ারী যদি পুরো বোলিং কোটা পূরণ করতে পারেন, তাহলে মিরাজকে খেলানো হলো না কেন? মিরাজ খেললেতো পুরো ৪ ওভার বোলিং করে দিতে পারতেন। শামীম যেখানে ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন, সেখানে মিরাজ নিশ্চয়ই তার চেয়ে বেশি দিতেন না! তিন পেসার (শরিফুল, হাসান মাহমুদ ও তানজিম সাকিব) আর ২ স্পিনার (শেখ মেহদি আর রিশাদ) এর সাথে মিরাজ থাকলে বোলিং অপশন বাড়তো। ব্যাটিংটা লাইন আপটাও হতো বড়।

পিএসএলে ভাল বোলিং করলেও আজ রিশাদ মোটেই ভাল জায়গায় বল ফেলতে পারেননি। বেশির ভাগ সময় খাট লেন্থে বল ফেলেছেন। মারও খেয়েছেন প্রচুর। তার ৪ ওভারে রান উঠেছে ৫৫। মিরাজ থাকলে রিশাদকেও আর চার ওভার পুরো বোলিং করানোর দরকার পড়তো না। তখন পাকিস্তানের ১০/১৫ রান কম হতে পারতো।

শামীম পাটোয়ারীর হয়ত মেরে খেলার সামর্থ্য একটু বেশি; কিন্তু বোলিং আর ব্যাটিং মিলে মিরাজও পিছিয়ে নেই। তাই হয়ত এক পেসার কমিয়ে, না হয় শামীম পাটোয়ারীর জায়গায় কিংবা শেখ মেহেদিকে বাদ দিয়েই মেহেদী হাসান মিরাজকে খেলানো যেত।

এআরবি/আইএইচএস/

Advertisement