চার মাস চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার আগমনকে কেন্দ্র করে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।
Advertisement
রোববার লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে কাতারের আমিরের পাঠানো একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সরাসরি ঢাকায় ফিরছেন।
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। এ উপলক্ষে শনিবার (৩ মে) বিকেলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের নিয়ে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে মির্জা ফখরুল এ তথ্য জানান।
মির্জা ফখরুল জানান, ‘বিমানবন্দর থেকে গুলশানের ফিরোজা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীরা নেত্রীকে স্বাগত জানাবেন। এক হাতে দলীয় পতাকা, অন্য হাতে ফুল নিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হবে।’
Advertisement
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরের টারমাকে মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থেকে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’র উদ্দেশ্যে গাড়িবহর রওয়ানা হলে পথে বিমানবন্দর মোড় থেকে গুলশান পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীরা নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাবেন।
নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস, তবে দেখা নিয়ে অনিশ্চয়তাবিএনপি নেতাদের একাংশ মনে করছে, নেত্রী দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাই শারীরিক দিক বিবেচনায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ এখনই নাও হতে পারে। তবে উপস্থিতি আর শুভেচ্ছার মাধ্যমে আবেগ প্রকাশ করাই হবে বড় ঘটনা।
নিরাপত্তা সমন্বয়বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা ও অভ্যর্থনার সমন্বয় করছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) একেএম শামসুল ইসলাম শামস। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
Advertisement
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হয়। সেখানে টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি তারেক রহমানের বাসায় ফেরেন। তার চিকিৎসা তত্ত্বাবধানে ছিলেন অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রস।
এবারের ফিরতি যাত্রায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকছেন তার দুই পুত্রবধূ—তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান।
কেএইচ/এমএইচআর/জেআইএম