যার সঙ্গে জীবন বেঁধেছেন, দিনের প্রতিটি মুহূর্তে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যার উপস্থিতি আছে, তাকে সামনাসামনি প্রশংসা করতে কি সংকোচ হয়? অনেকেরই হয়। তবে যাদের হয়না ও যারা এই সংকোচ কাটিয়ে ওঠেন, তাদের জীবনে এক চমৎকার প্রভাব পড়ে। কেননা সঙ্গীর সামনে তার প্রশংসা করা যখন আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে, তখন সঙ্গীর আচরণে আপনি এক ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।
Advertisement
বিষয়টি এমন নয় যে জোর করে অথবা বানিয়ে প্রশংসা করতে হবে। তবে আপনার সঙ্গীর মধ্যে যে ছোট ছোট ভালো দিকগুলো আছে সেগুলো খুঁজে দেখুন। প্রশংসা করলে সঙ্গী যেমন খুশি হবে, তেমনি তার সূক্ষ্ম নেতিবাচক বিষয়গুলো আপনাকে আর আগের মতো রাগিয়ে তুলবেনা।
আর জীবনসঙ্গীকে প্রশংসা করার দিন। প্রতিবছর ১লা মে এ ঐতিহাসিক দিনের সঙ্গেই পালন করা হয় এই জীবনসঙ্গীকে প্রশংসা করার দিনটি। তাই আজকে জেনে নিন প্রশংসার পাশাপাশি আর কোন অভ্যাসগুলো আপনার দাম্পত্য জীবন আরও আনন্দময় করে তুলবে।
১. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুনবাসার কাজ আপনাদের দুই জনেরই হলেও ছোট ছোট বিষয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। যেমন চায়ের কাপটি আপনার সঙ্গী এগিয়ে দিলে ছোট্ট একটি ধন্যবাদ দিন। এতে কোনো বিশেষ এফোর্ট লাগেনা, কিন্তু এর ফলাফল অনেক গভীর।
Advertisement
২. মায়ার স্পর্শদম্পতির মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াও সারাদিনে সাধারণ স্পর্শ থাকা জরুরি। এটি আপনাকে একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত থাকার অনুভূতি দেবে। হাঁটার সময় সঙ্গীর হাতটি ধরুন, কাজের ফাঁকে তাকে একটু জড়িয়ে ধরুন। এই স্মৃতিগুলো আপনার সম্পর্কের মধুর মুহূর্ত হয়ে জমা থাকবে।
৩. স্পষ্ট যোগাযোগসঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন। তার সঙ্গে কথা বলার সময় অন্য দিকে মনোযোগ সরাবেন না। মনের কথা শেয়ার করুন, সারাদিনের আনন্দ-কষ্ট-হতাশা ভাগাভাগি করে নিন। এটি থেরাপির কাজ করে। সেই সঙ্গে আপনাকে আরো ভালো করে বুঝতে আপনার সঙ্গীকে সাহায্য করবে।
৫. পরিকল্পনা করে ভালো সময় কাটানোকোয়ালিটি টাইম বা ভালো সময় কাটান। প্রতিদিনের জীবনে যে সময় একসঙ্গে কাটাচ্ছেন তা ভালো হলেও শুধু সঙ্গীর জন্য আলাদা করে সময় বের করুন, তাকে নিয়ে পরিকল্পনা করুন। এতে সে নিজের গুরুত্ব অনুভব করতে পারবে।
৬. একসঙ্গে হাসুনআপনারা দুজনই উপভোগ করেন, এমন কাজ করুন একসঙ্গে। তা সিনেমা দেখা হতে পারে, বই পড়া হতে পারে, বা শুধুই নিজেদের মজাদার অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হতে পারে।
Advertisement
৭. ঝগড়াকে ভয় পাবেন নাযখন কোনো বিষয়ে আপনাদের মধ্যে মনোমালিন্য বা ঝগড়া হবে, তা এড়িয়ে যাবেন না। এতে চাপা কষ্ট জমা হয়ে দূরত্ব তৈরি হয়। মাথা ঠান্ডা করতে সময় নিন। তারপর একসঙ্গে বসে কথা বলে সমাধান বের করুন।
৮. সাপোর্ট করুনআপনার সঙ্গীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, স্বপ্ন, ক্যারিয়ার – যেকোন বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করুন, তাকে সাপোর্ট করুন।
৯. নিজস্ব প্রথানিজেদের মধ্যে ছোট ছোট প্রথা তৈরি করুন। যেমন বাইরে যাওয়ার আছে কপালে এটি চুম্বন, বা ঘুমাতে যাওয়ার সময় একবার ‘ভালোবাসি’ বলা।
১০. প্রশংসা করুনসঙ্গীর ছোট-বড় সাফল্যকে উল্লেখ করুন, তার ভালো দিকগুলো তাকে দেখতে সাহায্য করুন। তার প্রশংসা করুন।
সহজ এই ১০টি বিষয়কে আপনার প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত করে নিজেই দেখুন ভালোবাসা মানুষকে কতটা সুখী করতে পারে।
এএমপি/এএসএম