জাতীয়

শাহ আমানত বিমানবন্দর পরিদর্শনে বেবিচক চেয়ারম্যান

শাহ আমানত বিমানবন্দর পরিদর্শনে বেবিচক চেয়ারম্যান

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের পর নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে কার্গো ফ্লাইট অপারেশনের প্রস্তুতি দেখতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।

Advertisement

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে তিনি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনাল ও কার্গো ওয়ারহাউস সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী মো. জাকারিয়া হোসেন, শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীরসহ বাংলাদেশ বিমান, কাস্টমস, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

আরও পড়ুন চার্জ কমাতে কাজ করছে বিমান-বেবিচক, বাড়ছে দেশের সক্ষমতা কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলবে জুলাইয়ে

বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, পরিদর্শনকালে বেবিচক চেয়ারম্যান কার্গো ফ্লাইট অপারেশনের পূর্বপ্রস্তুতির অগ্রগতি, স্বতন্ত্র কার্গো ফ্লাইট অপারেশন হ্যান্ডলিং মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে রপ্তানি কার্গো একসেপ্টেন্স এরিয়া সম্প্রসারণ, একসেপ্টেন্স এরিয়ার জন্য নতুন প্রয়োজনীয় শেড নির্মাণ, একসেপ্টেন্স এরিয়ায় নতুন ওয়েয়িং মেশিন স্থাপন, অচল কোল্ড স্টোরেজ মেরামত, নতুন দুটি ডুয়েল ভিউ স্ক্যানিং মেশিন, প্রয়োজনীয় ওয়াক থ্রো মেটাল ডিটেকটর কেনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এবং বিমানবন্দর পরিচালকে দিকনির্দেশনা দেন।

বিশেষ করে ইউরোপের সম্ভাব্য গন্তব্যে কার্গো রপ্তানির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আরএ-থ্রি জোন তৈরির জন্য জরুরি ইডিএস মেশিন, আরএ-থ্রি জোন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় স্থান নির্ধারণসহ অন্যান্য সিভিল, ইঅ্যান্ডএম ও সিএনএস ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়ে নির্দেশনা দেন বেবিচক চেয়ারম্যান। পরে তিনি বিমানবন্দরে অচল পড়ে থাকা ইন্টারন্যাশনাল এরাইভাল হলের স্কেলেটর পরিদর্শন করেন। এ সময় বিদেশফেরত যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত স্কেলেটরটি মেরামতের জন্য প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেন।

Advertisement

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, দেশটা আমাদের সবার। দেশের উন্নয়নে বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সিভিল এভিয়েশন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ বিমান, কাস্টমস, ইমিগ্রেশনসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ হওয়ায় আমাদের জন্য কার্গো পরিবহনের যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তা কাজে লাগাতে, সংশ্লিষ্ট সরকারি, বেসরকারি অংশীজনদের নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের প্রতিটি বিমানবন্দর হবে যাত্রীবান্ধব। এক্ষেত্রে আমাদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই।

এমডিআইএইচ/ইএ/এএসএম