জাতীয়

চট্টগ্রামে সাগর তীরে আটকে গেলো বিদেশি পতাকাবাহী ৩ জাহাজ

চট্টগ্রামে সাগর তীরে আটকে গেলো বিদেশি পতাকাবাহী ৩ জাহাজ

নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল জোয়ারের তোড়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপকূলে আটকে গেছে বিদেশি পতাকাবাহী তিনটি জাহাজ। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে পতেঙ্গা বেড়িবাঁধ এবং আনোয়ারার গহিরা বঙ্গোপসাগরের চরে এগুলো আটকে যায়।

Advertisement

এর মধ্যে ট্যাংকার জাহাজ ‘এলপিজি সোফিয়া’ পানামার পতাকাবাহী, টাগ ‘নেভিমার-৩’ সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের এবং বার্জ ‘মারমেইড-৩’ সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী। মামলা জটিলতার কারণে জাহাজ তিনটি দীর্ঘদিন বহির্নোঙরে অবস্থান করছিল। পাশাপাশি পতেঙ্গা এলাকায় এমভি হেরেম নামে আরেক লাইটার জাহাজও তীরে আটকে যায়।

জানা যায়, নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল জোয়ারের তোড়ে বৃহস্পতিবার রাতে আনোয়ারা উপজেলা উপকূল গহিরায় বঙ্গোপসাগরের চরে আটকে যায় টাগ ‌‘নেভিমার-৩’, বার্জ ‘মারমেইড-৩’। অন্যদিকে প্রায় একই সময়ে পতেঙ্গা আউটার রিংরোডের বাঁধে আটকে যায় ‘এলপিজি সোফিয়া’। সন্নিকটে বাঁধের কংক্রিট ব্লকে আটকে যায় ‘এমভি হেরেম’।

আরও পড়ুন দুর্যোগ পরিস্থিতি দেখতে সৈকতে পর্যটক-উৎসুক জনতার ভিড় দেড়শ কোটির অংক আমি বুঝতে পারছি না, নগদ বিষয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

শুক্রবার (৩০ মে) বন্দর সূত্রে জানা গেছে, টাগ ‘নেভিমার-৩’ এর সহায়তায় ‘মারমেইড-৩’ বার্জটি ২০২৩ সালের ৫ মে ভারতের কোলকাতা থেকে পাথর নিয়ে আসে। পরে মামলা জটিলতায় আটকে যায়। তখন থেকে টাগ এবং বার্জটি বহির্নোঙরে অবস্থান করছে। একইভাবে এলপিজি সোফিয়া জাহাজটি বাল্ক তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বহন করে। এটি মোংলা এবং চট্টগ্রামের কয়েকটি এলপি গ্যাস বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের এলপিজি নিয়ে আসে। গত বছরের ৪ জুন মোংলা বন্দরে এলপিজি খালাস করে ৬ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এরপর এলপিজি খালাস করে মামলা জটিলতা নিয়ে বহির্নোঙরে অবস্থান করছিল জাহাজটি।

Advertisement

কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশনের সিসি অনিমেষ রায় বলেন, ‘খবর পেয়ে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আনোয়ারার গহিরা উপকূলে আটকে থাকা টাগ ও বার্জ দুটি থেকে উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দিয়েছি। জাহাজের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে কোস্টগার্ড।’

এমডিআইএইচ/কেএসআর/এএসএম