বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান বাদল খানকে জামিনে মুক্তির পরপরই বরগুনা জেলা কারাগারের সামনে থেকে পুনরায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Advertisement
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনা সদর থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের আগস্ট মাসে আমতলী পৌরসভা কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগে ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে আমতলী উপজেলার একটি অনাথ আশ্রম থেকে বাদল খানকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী। পরে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ওই মামলায় জামিন পেয়ে বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশ তাকে জেলগেট থেকে আটক করে। পরে তাকে বিস্ফোরণ দ্রব্য আইনে করা মামলা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
Advertisement
স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন চেয়ারম্যান বাদল খান। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক নির্যাতন, দুর্নীতি, দখলবাজি ও সাধারণ মানুষকে হয়রানির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা সব থেকে বেশি হেনস্থার শিকার হয়েছেন এই আওয়ামী লীগ নেতার মাধ্যমে।
তার গ্রেফতারের খবরে বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মো. সালেহ বলেন, দলীয় প্রভাব ও অর্থের দাপটে বাদল খান বারবার সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করেছেন। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া জরুরি। তার শাস্তি দাবি করেন বরগুনা জেলা সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদেরও।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আখতারুজ্জামান বাদল খানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক আইনে সদর থানায় একটি মামলা করা হয়। তিনি অন্য একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন এবং সে মামলায় জামিনে বের হওয়ার পরে জেলগেটের সামনে থেকে পুনরায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার (১ মে) তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
নুরুল আহাদ অনিক/এমএন/এএসএম
Advertisement