জাতীয়

সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে

সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে

লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা সেই আলোচিত পুলিশ কনস্টেবল মো. রিয়াদ হোসেনকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রিয়াদকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন আইজিপি। ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক-পিপিএম’ পদক পান পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদ হোসেন।

সেই মুহূর্তের ছবি জুড়ে দিয়ে কনস্টেবল রিয়াদ হোসেন নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের অভিভাবক ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ বাংলাদেশ পুলিশ মহোদয় স্যার মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় স্যারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ বাংলাদেশ পুলিশ এবং ধন্যবাদ আমার অভিভাবক ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ বাংলাদেশ পুলিশ স্যারকে।’

আরও পড়ুন

Advertisement

আন্দোলনকারীদের না পেটানো সেই পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি পদক

গত ২৭ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে পুলিশে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক-পিপিএম’র জন্য মনোনীত হিসেবে পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদ হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২৫ সালে নাগরিকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে জনশৃঙ্খলা রক্ষায় অভিনব বুদ্ধিদীপ্ত পুলিশিং কৌশলের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশ সদস্য রিয়াদ হোসেনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)’ প্রদান করা হলো।

লাঠিপেটা না করে বরং লাঠিপেটার অভিনয় করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে দেখা যায় একজন পুলিশ সদস্যকে। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর প্রশংসায় ভাসেন কনস্টেবল রিয়াদ হোসেন।

এ ঘটনার পর রিয়াদ গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। তিনি বলেন, ঘটনার দিন একদল আন্দোলনকারী সচিবালয়ের গেটের দিকে আসতে থাকে এবং সচিবালয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় তাদের বাধা দেওয়া হয় এবং আমাদের সিনিয়র অফিসাররা বোঝান, সচিবালয় একটি সংরক্ষিত এলাকা, এখানে প্রবেশ করা নিষেধ। তো তাদের (আন্দোলনকারীদের) বোঝানো হয়, যেন সচিবালয়ে প্রবেশ না করে। কিন্তু বুঝিয়ে তাদের দমন করা যাচ্ছিলো না।

Advertisement

পুলিশের এই সদস্য বলেন, সিনিয়র স্যাররা ছিলেন, তাদের নির্দেশনায় আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিই ওখানে এবং সম্পূর্ণ কম বলপ্রয়োগ করে যেন কারও ক্ষতিসাধন না হয়।

তিনি বলেন, আমি রাস্তায় বাড়ি দিয়ে, পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি ছিল তাতে বাড়ি দিয়ে, ভয় দেখিয়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশ থেকে পাওয়া প্রশিক্ষণ থেকেই তিনি এমনটি করেন বলে জানান রিয়াদ।

টিটি/এমকেআর/এমএস