দেশজুড়ে

ফাঁসির দণ্ডাদেশ থেকে খালাসপ্রাপ্ত বিএনপি নেতার মৃত্যু

ফাঁসির দণ্ডাদেশ থেকে খালাসপ্রাপ্ত বিএনপি নেতার মৃত্যু

পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সদ্য খালাসপ্রাপ্ত ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম আক্তারুজ্জামান আক্তার (৭০) মারা গেছেন। রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। তিনি পৌর শহরের পিয়ারপুর এলাকার বাসিন্দা।

Advertisement

একেএম আক্তারুজ্জামান আক্তারের বড় ছেলে একেএম সাজেদুজ্জামান জিতু তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

৫ বছর কারাভোগের পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলার ৪৭ নেতাকর্মীর সঙ্গে তিনিও খালাস পান। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি রাজশাহী কারাগার থেকে মুক্ত হন।

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. রুস্তম আলী রায় ঘোষণা করেন। রায়ে একেএম আক্তারুজ্জামানসহ ৯ জনের ফাঁসি ও ৩৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়।

Advertisement

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব এক শোক বার্তায় জানান, আক্তারুজ্জামান আক্তার বিএনপির একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে তিনি দলকে সংগঠিত করতে কাজ করে গেছেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তিনি মিথ্যা মামলা থেকে খালাসপ্রাপ্ত হয়ে মাত্র আড়াই মাস আগে মুক্তি পেয়েছেন। তার অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

শেখ মহসীন/এফএ/এমএস