অটোরিকশার ডিজাইন করছে বুয়েট, প্রশিক্ষণে মিলবে লাইসেন্স

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অটোরিকশার একটি ডিজাইন নিয়ে কাজ করছে। এটি হলে অটোরিকশা চালকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে লাইসেন্স দেওয়া হবে। তবে প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেওয়া হবে না।

রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের পলাশ নগরে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, আপনাদের এলাকায় অবৈধ অটোরিকশার গ্যারেজের তথ্য দিন, আমরা সেগুলো বন্ধ করে দেবো। আপনারা বাড়ি মালিক সমিতি থেকে উদ্যোগ নিন, আপনাদের এলাকায় অবৈধ অটোরিকশা প্রবেশ করতে দিয়েন না। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা চেষ্টা করছি।

এদিন ডিএনসিসি প্রশাসক ২, ৩, ৪, ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন মিরপুর পলাশ নগর এলাকায় ৭টি প্যাকেজে মোট ১১ কিলোমিটার রাস্তা, ৩৫ কিলোমিটার নর্দমা ও ১৩ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।

আরও পড়ুন

অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপে শিগগির অভিযান: ডিএনসিসি প্রশাসক বনানীতে আন্দোলনের ছবি তুললেই লাঠিপেটা করছেন রিকশাচালকরা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় না চড়ার আহ্বান ডিএনসিসি প্রশাসকের

প্রশাসক এজাজ বলেন, ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত রাস্তার ময়লা পরিষ্কার করেন। আজ বেলা ১১টার পর পলাশ নগর আসার সময় দেখলাম রাস্তায় প্রচুর ময়লা। সকাল ৮টা থেকে ১১টা এই তিন ঘণ্টায় রাস্তা ময়লায় ভরে গেছে। আমি সবাইকে আহ্বান করছি, আপনারা যত্রতত্র ময়লা ফেলবেন না। যার যার সোসাইটি তারা পরিষ্কার রাখুন, এতে ঢাকা শহরের পরিবেশ সুন্দর হবে। বিদেশের উন্নত শহরের সঙ্গে আমাদের ঢাকার পার্থক্য হলো তাদের রাস্তা পরিষ্কার, কোনো ময়লা থাকে না। আর আমাদের ঢাকার রাস্তায় প্রচুর ময়লা পড়ে থাকে।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মীরা নিয়মিত পরিষ্কার করছেন। উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটি করপোরেশন প্রতিদিন প্রায় ৮ লাখ টন ময়লা সংগ্রহ করছে। সবাই যার যার বাড়ির সামনে রাস্তা পরিষ্কার রাখুন। আপনাদের বাড়ির ময়লা ঝাড়ু দিয়ে বাড়ির সামনে ফেলে দিয়েন না। ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা সংগ্রহ করবে।

ছাদবাগানের আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, মিরপুর এলাকায় একসময় অনেক গাছ ছিল। এই এলাকায় এত গরম ছিল না। তুলনামূলক অনেক ঠান্ডা ছিল মিরপুর। পর্যাপ্ত গাছ না থাকায় বর্তমানে মিরপুর এলাকায় তাপমাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। সবাই ছাদে গাছ লাগান, বাড়ির সামনে বা বারান্দায় টবে গাছ লাগান। ছাদবাগানের মাধ্যমে গ্রিন বিল্ডিং হলে আমরা ডিএনসিসি থেকে করের ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে আমি বোর্ড মিটিংয়ে উত্থাপন করবো।

তীব্র গরমে পথচারীদের পানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ঢাকা শহরে অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ আছেন যাদের পক্ষে কিনে পানি খাওয়া সম্ভব হয় না। তাই অনুরোধ করছি সবাই সক্ষমতা অনুযায়ী পথচারীদের জন্য পানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করুন। মানুষের পাশাপাশি অনেক প্রাণী আছে যেমন পাখি, কুকুর, বিড়াল তারাও তীব্র গরমে অনেক কষ্ট করে। এসব প্রাণীর জন্য ছাদে, বারান্দায় বা বাড়ি সামনে পাত্রে পানি রাখলে খেতে পারবে। এভাবেই শহরে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে।

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, পলাশ নগর বাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএমএ/ইএ/এমএস