রাজনীতি

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক নবায়ন হলো: ফখরুল

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক নবায়ন হলো: ফখরুল

বিএনপি এবং সফররত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠককে পুরোনো সম্পর্কের নবায়ন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

Advertisement

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এই বৈঠক শুরু হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক। গত ১৫ বছর কোনো মিটিং হয়নি। আজকের বৈঠকের মাধ্যমে সেই সম্পর্ক আবার নবায়ন হলো। দুই দলের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও গভীর হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হবে।

তিনি বলেন, চীন কখনই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। তবে তারা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা ও নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। আমরা তাদের সেসব বিষয় অবহিত করেছি। চীন সবসময় বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ চায়।

Advertisement

আরও পড়ুনবিএনপি-চীনা প্রতিনিধিদলের বৈঠকঅতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে আগামী নির্বাচন কঠিন হবে: আমিনুল হক

ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বিএনপির সঙ্গে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠক হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনী পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের জানিয়েছে। আমরা কোনো ধরনের পরামর্শ দেইনি।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরোর প্রধান পেং জিউবিনের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল এই বৈঠকে অংশ নেয়। চীনা প্রতিনিধিদলে ছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরোর উপ-পরিচালক চেন জুয়ানবো, তৃতীয় সচিব চেন ইয়াংপেই, কর্মকর্তা ঝাং গুইউ, ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের পরিচালক ঝাং জিং এবং কর্মকর্তা লিউ হংরু।

অপরদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল আলোচনায় উপস্থিত ছিল। বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির, মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব ও সাবেক সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।

কেএইচ/ইএ/জেআইএম

Advertisement