ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ২২ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন শতাধিক শ্রমিক।
Advertisement
বুধবার (২৩ এপ্রিল) থেকে টানা চারদিন ধরে কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে লিফ ফ্যাক্টরির গেটের সামনে কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
শ্রমিকরা জানান, মৌসুমি শ্রমিক হিসেবে ২২ দফা দাবি আদায়ে অনেক আগে থেকেই তারা আন্দোলন করে আসছেন। বার বার আশ্বাস দেওয়া হলেও দাবি মানা হচ্ছে না। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ এপ্রিল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। দাবি মানা না পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
আন্দোলনকারী শ্রমিক শামিম উল আলিম বলেন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর কুষ্টিয়া চৌড়হাস লিফ ফ্যাক্টরি অফিসের কর্মকর্তারা শ্রম আইনসহ কোনো আইন মানেন না। তারা নিজেদের মন মতো ফ্যাক্টরির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। শ্রমিকদের ঠকিয়ে তারা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তারা ২০১২ সাল থেকে ২২ দফা দাবি জানিয়ে এলেও কোম্পানির কর্মকর্তারা দাবি না মেনে তালবাহানা করছেন।
Advertisement
শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- বছর বছর নিয়োগপত্র দেওয়া বন্ধ করে এক নিয়োগপত্র দিতে হবে। কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ মুনাফা শ্রমিকদের দিতে হবে। প্রভিডেন্ট ফান্ড সুবিধা দিতে হবে। শ্রমিকের ঝুঁকি বিমা নিশ্চিত করতে হবে। ট্রেড ইউনিয়ন নিশ্চিত করতে হবে।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কুষ্টিয়া অফিসের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) ফারজুন ইসলাম বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের লিফ ফ্যাক্টরির প্ল্যান্ট ম্যানেজার মুকিত চৌধুরীর মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া ফ্যাক্টরিতে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশাররফ হোসেন বলেন, শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।
Advertisement
জেডএইচ/জেআইএম