ফিলিস্তিনসহ সারাবিশ্বের নিপীড়িত মুসলিমদের পক্ষে সংহতি জানাতে সমাবেশ করেছে আধিপত্যবাদ বিরোধী মুসলিম ঐক্যমঞ্চ। শনিবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশ করে তারা। এতে ৫ আগস্ট থেকে এই পর্যন্ত মাজারে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করাসহ ৬টি দাবি জানায় তারা।
Advertisement
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানদের ওপর ইসরায়েলের চরম বর্বরতা ও নৃশংসতা আর সহ্য করা যায় না। ইসরায়েলের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার ভূমিকা জারি রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। যতদিন আমাদের প্রাণ থাকবে ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানদের পক্ষে কথা বলা আমরা বন্ধ করবো না।
মাজারে হামলাকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তারা বলেন, সারাদেশে ৫ আগস্ট থেকে এই পর্যন্ত অসংখ্য মাজারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এগুলো সুস্পষ্ট জুলুম ও অমানবিক কর্মকাণ্ড। বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় ও সচেতন নাগরিক কখনোই এমন জুলুমকে সমর্থন করতে পারে না। পরবর্তীতে আর কোনো মাজারের ওপর যদি হামলা হয় তাহলে আমরা সম্মিলিতভাবে তাদের রুখে দেবো।
পরে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সংহতি সমাবেশ শেষ হয়।
Advertisement
আধিপত্যবাদ বিরোধী মুসলিম ঐক্যমঞ্চের সভাপতি ও মুসুরি খোলা দরবার শরীফের পীর শাহ্ হাসানুজ্জামান এই সংহতি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
এতে বক্তব্য দেন ইসলামী বক্তা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আরিফ। আরও বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির উপাধ্যক্ষ মুফতি আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক, আনম মাসউদ হোসাইন আল কাদেরী, অধ্যক্ষ আবু জাফর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান আল আযহারী প্রমুখ।
আধিপত্যবাদ বিরোধী মুসলিম ঐক্যমঞ্চের ৬ দাবিজাতিসংঘের সরাসরি হস্তক্ষেপে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে, ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের যত কাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে সব কিছুর আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের সরাসরি হস্তক্ষেপে এরই মধ্যে যত হত্যা হয়েছে সব হত্যাকাণ্ড ও হামলার তদন্তপূর্বক বিচার নিশ্চিত করতে হবে, ভারতের লোকসভায় পাস হওয়া অসাংবিধানিক ও মুসলিমবিরোধী ওয়াকফ বিল বাতিল ঘোষণা করতে হবে, ৫ আগস্ট থেকে এই পর্যন্ত মাজারে যত হামলা-অগ্নিসংযোগ হয়েছে সবগুলো ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং সব রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
এই সমাবেশ থেকে মানুষদের ৩টি অঙ্গীকার করানো হয়। অঙ্গীকার তিনটি হলো— ইসরায়েল ও ভারতসহ সব প্রকার বৈশ্বিক আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ভূমিকা জারি রাখবো, আওয়ামী লীগসহ সব দেশীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখবো এবং বাংলাদেশের মুসলমানদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সমাজ, সংস্কৃতি ও গোষ্ঠী স্বার্থে যে কোনো সময় যে কোনো মূল্যে আমরা ময়দানে নামতে প্রস্তুত থাকবো।
Advertisement
এএএম/এমআইএইচএস/জেআইএম