রাজধানীর আফতাবনগরে কোরবানির পশুর হাট বসানোর ইজারা নিয়ে সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান ভূমি কর্মকর্তারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন। রিটে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানি পশুর হাট বসানোর জন্য (আফতাব নগর) গত ২১ এপ্রিল প্রকাশ করা ইজারা বিজ্ঞপ্তি স্থগিত চাওয়া হয়।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানি পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেন। এই বিজ্ঞপ্তিতে রাজধানীর ১১টি হাটের কথা উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে আফতাবনগরে হাটের অংশ বাতিল চেয়ে রিট ইউনুছ আলী আকন্দ।
রিটকারি আইনজীবী এ বিষয়ে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে জানান, হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি হতে পারে।
Advertisement
তিনি বলেন, আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং), ধানমন্ডি, গুলশানের মতো রাজউক অনুমোদিত একটি পরিকল্পিত আবাসন এলাকা। এখানে বিচারপতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ ছোট-বড়সহ বহুতল বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে। এই বিশাল আবাসন এলাকায় প্রায় সাত হাজার প্লট বরাদ্দ দেওয়া আছে। এ অবস্থায় ওই এলাকায় পশুর হাট হলে সমগ্র আফতাবনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।
আইনজীবী জানান, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) ২০০৯ আইনের ধারা ৩ (২) ও প্রথম তফশিল অনুযায়ী, আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) বাড্ডা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড অধীন, যা ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত। এই এলাকার কাউন্সিলরও ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত এবং ২০২৩ সালে ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশন পশুর হাটের জন্য ইজার বিজ্ঞপ্তি দিলে রিট করার পর ওই ইজারা হাইকোর্ট স্থগিত করেন। পরে নর্থ সিটি করপোরেশন আপিল করলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এল ব্লকের পর থেকে ২০২৩ সালের জন্য ইজারা দেওয়ার অনুমতি দেয়। ফলে ওই সময় এল ব্লকের পর থেকে পশুর হাট হয়। কিন্তু হাইকোর্টের রিটের কারণে এ ব্লক হতে এইচ ব্লক পর্যন্ত পশুর হাট গত বছর বসানো হয়নি।
এফএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম
Advertisement