পাকিস্তানের বিজ্ঞানীরা এমন একটি মুরগির জাত উদ্ভাবন করেছেন, যা বছরে দুই শতাধিক ডিম দিতে সক্ষম। এটি প্রচলিত দেশি মুরগির তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি। সম্প্রতি ফয়সালাবাদের ইউনিভার্সিটি অব অ্যাগ্রিকালচারের (ইউএএফ) বিজ্ঞানীদের হাত ধরে এ সফলতা এসেছে বলে জানিয়েছে জিও নিউজ।
Advertisement
খবরে বলা হয়, পাঞ্জাব অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ বোর্ডের (পিএআরবি) অর্থায়নে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। এর লক্ষ্য, বিদেশি জাতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে টেকসই গ্রামীণ জীবনযাপনকে উৎসাহিত করা।
আরও পড়ুন>>
আমেরিকায় ডিমের আকাল, ট্রাক থেকে খোয়া গেলো এক লাখ পিস আমেরিকায় ডিমের দামে সর্বকালের রেকর্ড, বাড়তে পারে আরও যে কারণে বিনামূল্যে মুরগি বিতরণ করে ইউরোপের কিছু শহরইউএএফের ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল সায়েন্সেস জানায়, ‘ইউনিগোল্ড’ নামে নতুন জাতটি ঘরোয়া খামারে উৎপাদনের উপযুক্ত। খাবারের চাহিদা কম হওয়ায় এটি গরমেও সহনশীল।
Advertisement
গ্রামীণ পরিবেশের কথা মাথায় রেখে এই জাতের দুটি পৃথক ধরন—ফুল নেক ও নেকেড নেক উন্নয়ন করা হয়েছে। উভয় ধরনের মুরগি স্থানীয় জলবায়ু ও খাদ্য পরিস্থিতিতে সহজেই মানিয়ে নিতে পারে।
প্রচলিত দেশি মুরগি যেখানে বছরে ৭০ থেকে ৮০টি ডিম দেয়, সেখানে ইউনিগোল্ড দিতে পারে বছরে ১৭৯ থেকে ২১২টি ডিম। প্রতিটি ডিমের গড় ওজন ৫২ গ্রাম, যা দেশি ডিমের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি।
পোলট্রি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ইউনিগোল্ড মুরগি ২৫ থেকে ২৬ সপ্তাহ বয়সে ডিম দেওয়া শুরু করে এবং ৩২ সপ্তাহ বয়সে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৮৩ দশমিক ২ শতাংশ হারে ডিম দেয়। এ জাতের তাপ সহনশীলতা ও কম খাদ্য চাহিদা এটিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত উপযোগী করে তুলেছে।
কেএএ/
Advertisement