লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী জসিম উদ্দিন বেপারী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩। তারা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
Advertisement
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে ঢাকার পল্টনের একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) জামিলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেফতার আসামিদের লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- রায়পুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইমাম হোসেন গাজী, উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য আবুল খায়ের গাজী, ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য মো. সিদ্দিক আলী দেওয়ান, ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি সোলায়মান দেওয়ান, ওই ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. হানিফ দেওয়ান, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন বকসি, সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. শাহাদাত গাজী, বিএনপি কর্মী খালিদ গাজী, জাকির হোসেন, আব্দুল মন্নান গাজী, মো. নেসার উদ্দিন, মো. মিজান সরদার, মো. খিজির ও তসলিম উদ্দিন। তারা উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
Advertisement
মামলার এজাহার সূত্র জানায়, গত ৭ এপ্রিল বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কৃষকদল নেতা জিএম শামীম ও মোস্তফা গাজীর লোকজন জসিমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। ১৪ এপ্রিল ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। জসিম হত্যায় তার বাবা ফজল করিম বেপারী বাদী হয়ে ১৬ এপ্রিল ১২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এতে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজী মোস্তফা কামাল ও রায়পুর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব জিএম শামীমসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৮০ জনকে আসামি করা হয়। জসিম ফারুক কবিরাজের অনুসারী এবং পেশায় ঢালাই শ্রমিক ছিলেন।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ৭ এপ্রিলের সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা কৃষকদল নেতা জিএম শামীমের অনুসারী বিএনপি কর্মী ও স্পেন প্রবাসী সাইজ উদ্দিন দেওয়ান নিহত হন। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছিলেন। এসময় অন্তত ৩০ জন আহত এবং ১৫টি ঘরবাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়।
কাজল কায়েস/এফএ/জেআইএম
Advertisement