বাংলাদেশি নারী ক্রীড়াবিদদের ক্ষমতায়ন ও পেশাগত উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্রীড়া অবকাঠামো গড়ে তোলায় সহায়তার অঙ্গীকার করেছে কাতার ফাউন্ডেশন।
Advertisement
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দোহায় আয়োজিত আর্থনা সামিটের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে কাতার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান শেখা হিন্দ বিনত হামাদ আল থানি এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের জাতীয় দলের চারজন নারী ক্রীড়াবিদ (দুজন ক্রিকেটার ও দুজন ফুটবলার) উপস্থিত ছিলেন। তারা তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদ হিসেবে পথচলার চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন।
Advertisement
শেখা হিন্দ, যিনি একজন সাবেক শীর্ষ কাতারি ক্রীড়াবিদ এবং আমিরের বোন। তিনি বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের গল্প শুনে আবেগাপ্লুত হন এবং তাদের দৃঢ়তা ও সাহসের প্রশংসা করেন।
খেলোয়াড়রা জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমিটরি, জিম ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রসহ মৌলিক সুবিধার অভাব রয়েছে।
আরও পড়ুন
কাতারে ব্যস্ত দিন কাটালেন বাংলাদেশের নারী খেলোয়াড়রাজবাবে শেখা হিন্দ বলেন, কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন গঠনে সহায়তা করবে, যা এসব অবকাঠামো নির্মাণ ও পরিচালনা করবে।
Advertisement
অধ্যাপক ইউনূস জানান, নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি ফাউন্ডেশন শিগগির প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছে ডরমিটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, কনফারেন্স স্পেস এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার জন্য আবাসন সুবিধা তৈরিতে পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি আরও জানান, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলের ক্রীড়াবিদ মেয়েদের জন্য বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কোর্স চালু করবে।
অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে পুনর্বাসনের জন্য একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। শেখা হিন্দ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন এবং আমিরের মা শেখা মোজা বিনত নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। শেখা মোজা শিগগির বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এমইউ/ইএ/এএসএম