বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার মামলায় আসামি গ্রেফতারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে, ঢাকা মহানগর পুলিশের এমন অফিস আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে এখন থেকে আসামি গ্রেফতার করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন নেই।
Advertisement
একইসঙ্গে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে ৯ এপ্রিলের অফিস আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবি, সিআইডি ও এসবি প্রধানসহ সাতজনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (২৩ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল।
Advertisement
গত ৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন–সংক্রান্ত দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেফতার প্রসঙ্গে অফিস আদেশ জারি করা হয়। এর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন রিটটি দায়ের করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন হাইকোর্ট।
ঢাকা মহানগর পুলিশের হেডকোয়ার্টার্স থেকে কমিশনারের পক্ষে ৯ এপ্রিল ‘অফিস আদেশ’ জারি করেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন।
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্ত রুজুকৃত মামলায় আসামি গ্রেফতার প্রসঙ্গে’ শীর্ষক আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্ত রুজুকৃত মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহার নামীয় আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহার নামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেফতারের নিমিত্তে উপযুক্ত প্রমাণসহ (ভিকটিম/বাদী/সাক্ষী, ঘটনা সংশ্লিষ্ট ভিডিও/অডিও/ স্থির চিত্র ও সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেফতার করতে হবে।
উপযুক্ত প্রমাণ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলার এজাহার নামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত কোনো আসামি গ্রেফতার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
Advertisement
এফএইচ/জেএইচ/এএসএম