ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের ৩৩০ নম্বর কক্ষটি সম্পর্ক জানে না এমন শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ছাত্রলীগের সময়ে কক্ষটি ব্যবহৃত হতো গণরুম রুম হিসেবে। এ রুমে ঘটেছে একাধিক আলোচিত র্যাগিংয়ের ঘটনা। তবে এবার সেই ‘টর্চারসেল’ নামক কক্ষটিতে তৈরি করা হয়েছে সুসজ্জিত রিডিং রুম। হল প্রশাসনের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
হল সূত্র জানায়, অনেক আগে কক্ষটি রিডিং রুম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ কক্ষটিকে গণরুমে পরিণত করা হয়। ছোট্ট একটি রুমে গাদাগাদি করে থাকতো প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। এ রুমে বিভিন্ন সময়ে ঘটেছে র্যাগিংয়ের মতো ঘটনা। তবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে রুমটি বন্ধ করে দেয় হল প্রশাসন। এবার সেখানে তৈরা করা হয়েছে সুসজ্জিত রিডিং রুম। এতে প্রায় ২৩ জন শিক্ষার্থীর পড়াশোনার জন্য আলাদা ডেস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের এমন উদ্যেগের প্রশংসা করছেন শিক্ষার্থীরা।
হলটির আবাসিক শিক্ষার্থী তানভীর হোসেন বলেন, এটা ভেবে ভাবতেই ভালো লাগছে, আগে যেখানে নানারকম অন্যায় কাজ হতো এখন সেখান থেকে দেশপ্রেমিক দক্ষ নাগরিক বের হবে। এটা আমাদের আন্দোলনের সফলতা। ৫ আগস্টের পর আমরা দেখলাম হলে রিডিং রুম নেই। তখনই হল প্রভোস্ট স্যারের সঙ্গে রিডিং রুমের বিষয়ে দাবি জানাই। স্যার আশ্বাস দিলেন চাকরি প্রস্তুতির সব বই থাকবে এখানে।
হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, হলের এ রুমটি আগের গণরুম হিসেবে ছিল। পরে শিক্ষার্থীরা একটা রিডিং রুম তৈরি করার দাবি করেছেন। তাই তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সেই রুমে রিডিং রুম তৈরি করেছি। রুমটি আরও উন্নত করা হবে।
Advertisement
আরএইচ/এমএস