অর্থনীতি

১৪৩ কোটি টাকায় ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার

১৪৩ কোটি টাকায় ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার

কৃষিখাতে ব্যবহারের জন্য ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয় ও ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পিএলসির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে কারিগরি সহায়তা দিতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ সংক্রান্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

Advertisement

এর মধ্যে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনতে ব্যয় হবে ১৪২ কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা। আর ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পিএলসির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে কারিগরি সহায়তা দিতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে ব্যয় হবে ৭৬ কোটি ৩৪ লাখ ৭ হাজার ৩৭৫ টাকা। ফলে দুই ক্রয় প্রস্তাবে মোট ২১৯ কোটি ২১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭৫ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বিদেশ থেকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ এর কাছ থেকে ১৫তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

Advertisement

জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের পরিকল্পনা মোতাবেক কাফকো, বাংলাদেশ থেকে ৫ দশমিক ৪০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয়ের সংশোধিত চুক্তি সই হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৫তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের জন্য প্রাইস অফার পাঠানোর অনুরোধ করা হলে কাফকো, বাংলাদেশ প্রাইস অফার পাঠায়।

কাফকোর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সারের মূল্য নির্ধারণ করে ১৫তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার প্রতি মেট্রিক টনের দাম ৩৯০ দশমিক ৩৭৫ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার ২৫০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৪২ কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইউরিয়া সার ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩২ লাখ টন। তার মধ্যে কাফকো, বাংলাদেশ থেকে ৫ দশমিক ৪০ লাখ টন কেনা হবে।

বৈঠকে ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পিএলসির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে কারিগরি সহায়তা দিতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ গ্রানুলার ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী কারখানা ‘ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পিএলসির দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ২৮০০ মেট্রিক টন। কারখানার সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন অব্যাহত রাখা ও কর্মরত জনবলের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির স্বার্থে ওয়ারান্টি প্রিয়ড ২০২৫ সালের ১১ মার্চ তারিখ পরবর্তী টেকনিক্যাল সার্ভিসের জন্য একক উৎসভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য কারখানার সাধারণ ঠিকাদার মেসার্স এমএইচআই, জাপানকে প্রস্তাব করা হলে প্রতিষ্ঠানটি দরপ্রস্তাব দাখিল করে।

Advertisement

প্রস্তাবটি কারিগরিভাবে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়। প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশ করা দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএইচআই, জাপান-এর কাছ থেকে পরামর্শ/বিশেষজ্ঞ সেবা ১ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ৩৪ লাখ ৭ হাজার ৩৭৫ টাকায় ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। দৈনিক উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ২২ জন বিশেষজ্ঞ এক বছরের জন্য কারিগরি সহায়তা দেবে। এর মধ্যে পাঁচজন টোকিও সাইট ও ১৭ জন জিপিএফপিএলসি সাইটে কাজ করবেন।

এমএএস/এমকেআর/এমএস