যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বাণিজ্যিক অংশীদারদের কাছে পণ্য রপ্তানিকে প্রতারণামুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভিয়েতনামের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
Advertisement
দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশনায় বলেছে, মার্কিন শুল্কের কারণে বাণিজ্য জালিয়াতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যদিও এই নির্দেশনায় কোনো দেশের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি, তবে ভিয়েতনামের আমদানিকৃত পণ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ আসে চীন থেকে। অপরদিকে ওয়াশিংটন অভিযোগ করেছে, চীন মার্কিন শুল্ক ফাঁকি দিতে ভিয়েতনামকে একটি কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যা আপাতত জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায়, কাস্টমস ও অন্যান্য সংস্থাকে আমদানি করা পণ্যের উৎস যাচাই করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য ব্যবহৃত কাঁচামাল খতিয়ে দেখার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভিয়েতনাম সফরের দিনই এই নির্দেশনা জারি করা হয়। সফরের সময় উভয় দেশ পণ্যের উৎসের প্রমাণপত্র ইস্যু করার জন্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে বেইজিং অন্যান্য দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনো বাণিজ্য চুক্তি না করার বিষয়ে সতর্ক করেছে, যা তাদের স্বার্থের পরিপন্থি।
অবৈধ চালানের অভিযোগে বলা হয়েছে, চীনের রপ্তানিকৃত পণ্য সামান্য বা কোনো মূল্য সংযোজন না করেই ভিয়েতনামে থামে এবং মেড ইন ভিয়েতনাম লেবেল লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। ফলে সেগুলো চীনা পণ্য হিসাবে গণ্য হলে যে শুল্ক দিতে হতো, তা এড়াতে পারে।
নতুন নির্দেশনায় কারখানা পরিদর্শন ও ‘মেড ইন ভিয়েতনাম লেবেলগুলোর তত্ত্বাবধানের জন্য কঠোর পদ্ধতি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে, যে সংস্থাগুলো হঠাৎ করে উৎসের প্রমাণপত্রের জন্য বেশি আবেদন করছে, সেগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানো হবে।
Advertisement
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এমএসএম