সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৯১, জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়েছে ২৭৩ রানে। এতে সফরকারীদের ঝুলিতে বাড়তি জমা পড়েছে ৮২ রান। ৮২ রানের লিড দাঁড়াতে করাতে জিম্বাবুয়েকে খেলতে হয়েছে ৮০.২ ওভার।
Advertisement
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিনা উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে জিম্বাবুয়ে। সকাল সকাল বাংলাদেশকে আশা দেখান নাহিদ রানা-হাসান মাহমুদরা।
দিনের শুরুতেই তৃতীয় ওভারে নাহিদ রানার বাউন্সে পরাস্ত হয়ে শর্ট লেগে মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন বেন কারেন (১৮)। তার তিন ওভার পর নাহিদের দ্বিতীয় শিকার হাফসেঞ্চুরিয়ান ব্রায়ান বেনেট।
নাহিদের পঞ্চম স্টাম্পে করা শর্ট অব গুড লেহ্নের বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক জাকের আলীর গ্লাভসে ধরা পড়েন বেনেট। ৬৪ বলে ১০ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ৫৭।
Advertisement
পরের ওভারেই হাসান মাহমুদের চোখ ধাঁধানো এক ডেলিভারি। অফস্টাম্প উড়ে যায় নিক ওয়েলচের (২)। ৮৮ রানে ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে শন উইলিয়ামস আর ক্রেইগ আরভিনের অনেকটা সময় প্রতিরোধ।
চতুর্থ উইকেটে ৪১ রানের জুটি করেন উইলিয়ামস ও আরবিন। এই জুটিও ভাঙেন নাহিদ রানা। দুর্দান্ত এক ডেলিবারিতে আরবিনকে উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিকের ক্যাচ বানান তিনি। ৩৯ বলে মাত্র ৮ রান করে সাজঘরে ফেরত যান আরবিন।
পঞ্চম উইকেটে আবারও জুটি করেন উইলিয়ামস ও ওয়েসলি ম্যাধেভেরে। এই জুটিতে আসে ৪৮ রান। ম্যাধেভেরেকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন পেসার খালেদ আহমেদ। ৩৩ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন ম্যাধেভেরে।
আঠার মতো উইকেটে লেগে থাকা উইলিয়ামসকে আউট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ডানহাতি টাইগার স্পিনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ হন তিনি। আউট হওয়ার আগে বাঁহাতি ব্যাটার অবশ্য ফিফটি করে ফেলেছেন। ১০৮ বলে করেছেন ৫৯ রান।
Advertisement
লোওয়ার মিডলঅর্ডারে রান করে জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে দিয়েছেন নায়াশা মায়াভো। ৫৪ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। নিচের দিকে ৪৪ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন রিচার্ড এনগারাভা। ব্লেসিং মুজারাবানির অবদান ১৬ বলে ১৭ রান। এতে জিম্বাবুয়ের পুঁজি দাঁড়ায় ২৭৩ রানের।
বাংলাদেশের হয়ে ৫২ বলে রানে ৫ উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নাহিদ রানা ৩ এবং খালেদ আহমেদ ও হাসান মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।
এমএইচ/জিকেএস