লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে সাহিদা বেগম (৫০) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার মধ্য গড্ডিমারী শস্যগুদাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাহিদা বেগম উপজেলার মধ্য গড্ডিমারী এলাকার মৃত ফজল হকের মেয়ে।
জানা যায়, সাহিদা বেগম একজন স্বামী পরিত্যাক্তা ও মানসিক ভারসাম্যহীন নারী ছিলেন। প্রথম স্বামী ডিভোর্স দেওয়ার পর তিন অন্য একজনকে বিয়ে করেন। আগের সংসারে তার একটি ছেলে আছে। বর্তমানে তার ছেলে চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। মায়ের খোঁজখবর নেন না। দ্বিতীয় বিয়ের কিছুদিন পর সাহিদার সেই স্বামীও তাকে ডিভোর্স দেন। এ আঘাত সহ্য করতে না পেরে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে থাকেন।
Advertisement
স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনার দিন বিকেলে তিনি রেললাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে হয়ত বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় বুড়িমারী থেকে কমিউটার ট্রেন লালমনিরহাটের দিকে যাচ্ছিলো। ট্রেনটি তার কাছাকাছি এলে তিনি লাইন পার হওয়ার চেষ্টা করেন। এতে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুন নবি জানান, স্থানীয়দের নিকট থেকে ট্রেনে কাটা পরে একজনের মৃত্যুর বিষয়ে শুনেছি। পরে জিআরপি থানায় খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে যায় ও আইনি ব্যবস্থা নেয়।
লালমনিরহাট জিআরপি থানার ওসি মামুন হাসান জানান, ঘটনার পরপরই থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসতে চাইলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। পরে নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সুপারিশে অপমৃত্যু মামলা দিয়ে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
এমএন/এমএস
Advertisement