আইন-আদালত

রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুরসহ ৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুরসহ ৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার ও তার স্ত্রী গাজী রেবেকা রওশনসহ ছয়জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক তিনটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, স্ত্রী শিখা সরকার, তার ব্যবসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সুধীর কুমার সরকার ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন।

দুদকের পরিচালক আবুল হাসনাত রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুরসহ দুজনের ও সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার, উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল ও রিয়াজসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পৃথক তিনটি আবেদন মঞ্জুর করে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

Advertisement

আবেদনে বলা হয়, সিদ্দিকুর রহমান সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে, পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এজন্য তাদের বিদেশ গমন আটকানো প্রয়োজন।

কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাসের বিষয়ে আবেদনে বলা হয়, বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নিজ নামে বিভিন্ন ব্যাংকে একাধিক হিসাব খুলে কর ফাঁকি ও অর্থের উৎস আড়াল করার জন্য লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে আরপি কনস্ট্রাকশনের হিসাবে ২০১ কোটি এক লাখ টাকা জমা ও উত্তোলন, নিজ নামীয় ১৩ টি ব্যাংক হিসাবে ৩২ কোটি ১৪ লাখ টাকা জমা, ৩১ কোটি ৭২ লাখ টাকা উত্তোলন এবং বর্তমানে ৪২ লাখ ৮২ হাজার টাকা স্থিতি থাকাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত অপরাধের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে মানিলন্ডারিং করা অর্থ পুনরুদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পড়বে। তারা যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন সেজন্য নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

এমআইএন/এএমএ/জিকেএস

Advertisement