সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি

চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা বাংলাদেশের ৩৩০টি (পুরাতন) সরকারি কলেজে ১ থেকে ৩৫ বছর যাবৎ ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে বেসরকারিভাবে স্ব-স্ব কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়ের নিয়োগের মাধ্যমে চাকরি করে আসছি। কিন্তু আমাদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করা হচ্ছে না। ২০১৩ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ১৯৯১-এর নিয়োগ বিধি সংশোধনের মাধ্যমে আমাদের বঞ্চিত করে কেন্দ্রীয়ভাবে শতভাগ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় আমরা ২০০০ সালের পর থেকেই রাজস্ব খাতের নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হই।

তারা বলেন, আমাদের অনেকের বয়স ৩০ বছরের বেশি হয়ে গেছে। আমরা সামান্য মজুরিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমরা সরকারি কলেজের সবাই যে দপ্তরে চাকরি করছি সেখানে আমরা সরকারি দায়িত্ব পালন করছি। বিভিন্ন কলেজ জাতীয়করণ/ সরকারিকরণ করা হলেও আমাদের বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে না।

মানববন্ধনে আরও বলা হয়, এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমরা নিরুপায় হয়ে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার সহানুভূতি কামনায় গত বছরের ২১ আগস্ট তারিখে একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনসহ প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেই। তিনি আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করবেন মর্মে তার প্রেস সচিব এর মাধ্যমে মৌখিক আশ্বাস দেন। উপদেষ্টার মৌখিক আশ্বাস পেয়ে আমরা আমাদের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করি। পরবর্তীতে আবারও সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় স্মারকলিপি দিয়েছি। এর আগে আমরা আমরণ অনশন, সাংবাদিক সম্মেলন, নিজ নিজ কর্মস্থলে ১ঘন্টা প্রতীকী কর্মবিরতিসহ একাধিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও আমাদের বিষয়ে কোনো সরকারই এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

এসময় তারা আরও জানান, সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে। কর্মরতদের ব্যতিরেকে নতুন নিয়োগ বন্ধ করতে হবে, অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের চাকরির নিরাপত্তা দিতে হবে এবং রাজস্বখাতভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম আমিন ও সদস্য সচিব মো. ফরিদুল ইসলাম।

আরএএস/এএমএ/জেআইএম