খেলাধুলা

‘আরচারি ক্লাব বিলুপ্ত, কীভাবে চলবো দুশ্চিন্তায় আছি’

বাংলাদেশ পুলিশ তাদের অংশ নেওয়া খেলার তালিকা থেকে আরচারি বাদ দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ২৫ জন খেলোয়াড়। চাকরি পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে যারা পুলিশ আরচারি ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন সেই আরচারদের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকারে। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়া আরচার শ্যামলী রায় বিলুপ্ত পুলিশ ক্লাবের সদস্য।

Advertisement

ক্লাব ভেযে দেওয়ার খবরে হতাশ হয়ে পড়েছেন নড়াইল থেকে উঠে আসা এই তারকা আরচার। পুলিশ ক্লাবে খেলে যে ভাতা পেতেন তার সাথে স্বামীর আয় যোগ করে সংসার চালাতেন। ৭ মাস ধরে পুলিশের ভাতা পান না। এখন তো ক্লাবই নেই। নিজেদের হতাশাই প্রকাশ করলেন এই অলিম্পিয়ান।

জাগো নিউজ: পুলিশ আরচারি ক্লাব ভেযে দেওয়ার পর এখন কোথায় খেলবেন ঠিক করেছেন?

শ্যামলী রায়: এখন তো খেলা অনিশ্চিত হয়ে গেলো। আগে তো জাতীয় দলে ছিলাম। এখন তাও নেই। আমার পাঁচ মাসের কন্যা সন্তান আছে। এখন কিভাবে সংসার চালাবো তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

Advertisement

জাগো নিউজ: আপনি কত সাল থেকে পুলিশ ক্লাবে আছেন?

শ্যামলী রায়: ২০১৯ সালে পুলিশ আরচারি ক্লাব গঠন হয়েছিল। দল তৈরি হয় ২০২০ সালে। আমি শুরু থেকেই ছিলাম।

জাগো নিউজ: পুলিশ আরচারি ক্লাবের হয়ে আপনি কতগুলো পদক জিতেছেন?

শ্যামলী রায়: জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে আমার ৫টি স্বর্ণ আছে। আন্তর্জাতিক পদক আছে চারটি। একটি রৌপ্য ও ৩টি ব্রোঞ্জ।

Advertisement

জাগো নিউজ: পুলিশ আরচারি ক্লাবের আগে কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে খেলতেন?

শ্যামলী রায়: আমি ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরচারি দলে ছিলাম। সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায়ই আমি অলিম্পিক গেমসে খেলেছিলাম।

জাগো নিউজ: আরচারি খেলায় কিভাবে এলেন?

শ্যামলী রায়: ২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমসের দল গঠনের জন্য নড়াইলে ট্রায়াল করেছিল বিকেএসপি। ৮ দিন ট্রায়ালের পর আমি আরচারি ডিসিপ্লিনে টিকে যাই।

জাগো নিউজ: কয়টি এসএ গেমস খেলছেন আপনি?

শ্যামলী রায়: ২০১৬ সালে ভারতের গুয়াহাটি ও শিলংয়ে এবং ২০১৯ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে অংশ নিয়েছিলাম।

জাগো নিউজ: একজন সিনিয়র আরচার হিসেবে কর্তৃপক্ষের কাছে কি আবেদন থাকবে আপনার?

শ্যামলী রায়: আমার একটাই আবেদন থাকবে, তারা যেন এই ক্লাবটি আবার গঠন করার ব্যবস্থা নেন। কারণ, পুলিশ আরচারি ক্লাব বিলুপ্ত করায় অনেক আরচারের রুটি-রুজিতে আঘাত পরেছে।

জাগো নিউ: ধন্যবাদ।

শ্যামলী রায়: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আরআই/আইএইচএস/