গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিয়েবাড়িতে অবরুদ্ধ থাকা বরপক্ষের লোকজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেই অবরুদ্ধ হয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাকেসহ লোকজনদের উদ্ধার করেন।
Advertisement
এ ঘটনায় কনেপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বরপক্ষ। একইসঙ্গে থানার ওসিকে অবরুদ্ধ ও আইনি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে পুলিশের পক্ষ থেকেও একটি মামলা করা হয়েছে।
রোববার (৬ এপ্রিল) বিকেলে মামলা দুটির বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হালিম আজাদ। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপড়হাটী হাজিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ওই গ্রামের প্রবাসী দুখু মিয়ার মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী রামজীবন ইউনিয়নের আয়নাল হকের ছেলে সবুজ সরকারের (২৮) সঙ্গে। গেটের টাকা আদায় নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হলেও তাদের বিয়ে হয় যথারীতি। বিয়ের পর রাত ১টার দিকে তিন শতাধিক বরযাত্রীকে খাবার দেওয়া হয় টেবিলে। সন্ধ্যার আগে রান্না করা ভাত গভীর রাতে ভ্যাপসা গরমে নরম হয়ে যায়। সেই নরম ভাত পরিবেশন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বরপক্ষ। একে একে ফেলে দিতে থাকেন ভাতের প্লেট।
Advertisement
ভেঙে চুরমার করা হয় চেয়ার। কনের বাবার অনুপস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান তদারকির দায়িত্বে থাকা কনের চাচা বরপক্ষকে শান্ত করতে গেলে তার কলার ধরে মাটিতে ফেলে কিল-ঘুসি মারা হয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে বরপক্ষের বেশিরভাগ লোক পালিয়ে যান। এসময় বরসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধারে যান সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হালিম আজাদ। এসময় তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. ওয়াজেদ হোসেন বলেন, ‘ওসি ফোন করেছিলেন। সে হিসেবে যাওয়া। তাদের হেল্প করাটাও আমাদের দায়িত্ব। তবে এলাকাবাসী খুব খারাপ করেছেন। কাজটি তারা ঠিক করেননি। আমাদের কথাও তারা শোনেননি।’
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘বিয়েবাড়ির তিনজন লোক আটকা ছিল। আমরা তাদের উদ্ধার করতে গিয়েছিলাম। এসময় স্থানীয়রা আমাদের দিকে ঢিল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে সাইডে এক বাসায় ঢোকার সময় ওরা আমাকে ঘিরে ধরে। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।’
এ এইচ শামীম/এসআর/জিকেএস
Advertisement