দেশজুড়ে

সংঘর্ষে জামায়াত নেতাসহ নিহত ৩, উখিয়ার পরিস্থিতি থমথমে

সংঘর্ষে জামায়াত নেতাসহ নিহত ৩, উখিয়ার পরিস্থিতি থমথমে

কক্সবাজারের উখিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে জামায়েত নেতাসহ তিনজন নিহতের ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় নারী-পুরুষসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

বসতভিটার জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ হয়। এতে আরও পাঁচজন গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি।

নিহতরা হলেন- উখিয়ার কুতুপালং পশ্চিমপাড়ার নাজির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪০), একই গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আব্দুল মান্নান (৩৫) ও তার বোন শাহীন আক্তার (৩০)। এরমধ্যে আব্দুল্লাহ আল মামুন উখিয়া রাজাপালং ৯ নম্বর ওয়ার্ড জামায়েতের আমির ও কুতুপালং জামে মসজিদের খতিব।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উখিয়ার কুতুপালং পশ্চিম পাড়ার একই গ্রামের আপন দুই ভাইয়ের ছেলে নাজির হোসেন ও মোহাম্মদ হোসেন গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বসতভিটার সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

Advertisement

সবশেষ রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন জমির সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দা, কিরিচ ও কোদাল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ হামলায় প্রথমে ঘটনাস্থলেই আব্দুল্লাহ আল মামুন ও শাহীনা বেগম নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আব্দুল মান্নান।

আহতরা হলেন কুতুপালং গ্রামের আব্দুর রহিম, রজিনা বেগম, আব্দুল হামিদ, পিংকি আক্তার ও আমিনা বেগম।

রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মোহাম্মদ আলম বলেন, তিনজন নিহতের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহ দুজন পুরুষ ও দুজন নারীকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করে পুলিশ।

Advertisement

উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মীর শাহেদুল ইসলাম রুমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আপন চাচাতো-জেঠাতো ভাইদের মধ্যে এরকম ঘটনা দুঃখজনক।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করে সবাইকে আইনের আওতায় আনা দরকার।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, কুতুপালংয়ে তিনজন নিহতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

জাহাঙ্গীর আলম/জেডএইচ/জিকেএস