দক্ষিণ কোরিয়ায় দমকল বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ওই হেলিকপ্টারের পাইলট নিহত হয়েছেন। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার (৬ এপ্রিল) দেশটির দায়েগু শহরে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পাহাড়ি এলাকায় আগুন নেভানোর কাজ করার সময় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। খবর এএফপির।
Advertisement
সরকারি তথ্য অনুসারে, গত মাসে দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩০ জন প্রাণ হারায় এবং ৪৮ হাজার হেক্টরের (১ লাখ ১৮ হাজার ৬১০ একর) বেশি বনভূমি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই হেলিকপ্টারে শুধু পাইলটই ছিলেন। স্থানীয় সময় রোববার তিনি একটি দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
তবে এ বিষয়ে দায়েগু দমকল বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। গত মাসেও দমকল বাহিনীর অভিযানের সময় একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে এর পাইলট নিহত হন।
Advertisement
গত মাসের শেষের দিকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানলে ১৮ জন নিহত এবং আরও ১৯ জন আহত হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সে সময় দেশের অনেক ঐতিহাসিক স্থানও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন বিভাগ জানিয়েছে, জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত জোসন রাজবংশের (১৩৯২-১৯১০) সময়কার একটি স্থাপত্য নিদর্শনও দাবানলে ধ্বংস হয়েছে।
দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু দাবানলের পরিস্থিতিকে ‘অভূতপূর্ব সংকট’ বলে উল্লেখ করে বলেন, আমাদের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল, যা নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় দাবানল সাধারণত বিরল। তবে গত মাসের দাবানল দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী দাবানলে পরিণত হয়। এতে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর বনভূমি পুড়ে গেছে, যা আকারের দিক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম দাবানল।
দেশটিতে বর্তমানে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যা শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য দায়ী। এ বছর দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৪৪টি দাবানলের খবর পাওয়া গেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৪ গুণ বেশি।
আরও পড়ুুন:
Advertisement
দক্ষিণ কোরীয় সরকার দাবানলের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে অবৈধ আগুন জ্বালানোকে চিহ্নিত করেছে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
টিটিএন