ঈদের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছেড়েছে লাখো মানুষ। যার প্রভাব পড়েছে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে। নেই হাঁকডাক, ক্রেতা-বিক্রেতার দরদাম করার চিরচেনা সেই দৃশ্য।
Advertisement
বুধবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুর-১ কাঁচাবাজার, কচুক্ষেত কাঁচাবাজার, মিরপুর-১৩ কাঁচাবাজার, সেনপাড়া কাঁচাবাজারসহ আশপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজার প্রায় ক্রেতাশূন্য, বেশিরভাগ দোকান বন্ধ। দু-একজন ক্রেতা আসছেন, দরদাম করছেন।
বিক্রেতাদের তথ্যমতে, বাজারে শাক-সবজির দাম কমেছে তবে লেবু ও শসা আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। মুরগির মাংসের দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমলেও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শেষ না হলে বাজারে ক্রেতা সমাগম ঘটবে না। যারা আসছেন তারা ঈদে বাড়ি যাননি তাই বাজার করতে এসেছেন। তাই বাজারে পণ্য সরবরাহ কম।
Advertisement
মিরপুর-১ কাঁচাবাজারের বিক্রেতা আব্দুল গনি মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, রোজার চেয়ে বাজার এখন খুব খারাপ। শাক-সবজির দাম প্রায় অর্ধেক কিন্তু কেনার মানুষ নেই।
তিনি বলেন, যে সবজি রোজায় ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করছি সেটা এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করছি। তবে লেবু ও শসা আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
সেলিম নামে এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হচ্ছিল কচুক্ষেত বাজারে। তিনি বলেন, বাজারে সব পণ্যের দাম আগের মতোই আছে, কিছু সবজির দাম কমেছে। আমি এক কেজি করলা কিনেছি ৫০ টাকায়।
ব্রয়লার মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগেও ছিল ২৩০ টাকা প্রতি কেজি। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। কিন্তু গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসি ১২০০-১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement
এসআরএস/বিএ